ব্যবসা-বানিজ্য ও অর্থনীতিদেশনিউজ

২ লাখ টাকা পর্যন্ত সরকার পাঠাচ্ছে এই লোকেদের অ্যাকাউন্টে, জানুন কীভাবে করতে হবে আবেদন

এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে সরাসরি আবেদন করতে হবে কৃষি বিভাগের ওয়েবসাইট থেকে

Advertisement
Advertisement

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারগুলি এখন দেশের সাধারণ কৃষকদের আর্থিকভাবে সক্ষম করার জন্য অনেকগুলি পরিকল্পনা শুরু করেছে। কৃষকদের নানাভাবে আর্থিক এবং অন্যান্য সাহায্য দেওয়া শুরু করেছে সরকার। শুধু তাই নয়, এখন সরকার ভারতের সাধারণ কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম করার চেষ্টার ক্ষেত্রেও রয়েছে। সঙ্গেই, কৃষকদের সমস্যার সমাধান দিতে রাজ্য সরকার একটি বিশেষ প্রকল্প শুরু করেছে।

Advertisement
Advertisement

আপনাদের জনিয়ে রাখি, এই প্রকল্পটি বিহার সরকার শুরু করেছে। এই প্রকল্পের নাম কৃষি ক্লিনিক যোজনা। আপনি এই প্রকল্পের অধীনে একটি কৃষি ক্লিনিক খোলার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। এই প্রকল্পের আওতায় কৃষকরা ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনুদান পাবেন। কৃষকদের ফসল উৎপাদনের সাথে সম্পর্কিত সমস্ত জিনিস যেমন মাটি পরীক্ষার সুবিধা, বীজ বিশ্লেষণের সুবিধা, কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনার জন্য সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তি, সার, স্প্রে করা সবকিছুই করা যায়। এর পাশাপাশি ফসলের ফলন ও গুণগত মান বৃদ্ধি করে কৃষকদের আয় বাড়াতে পারা যায় এই ক্লিনিকের মাধ্যমে।

Advertisement

সরকারের এই প্রকল্পের সুবিধাগুলি পেতে, একজনকে অবশ্যই ICAR দ্বারা স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষিতে স্নাতক, কৃষি ব্যবসা ব্যবস্থাপনায় স্নাতক এবং উদ্যানবিদ্যায় স্নাতক হতে হবে। তবেই আপনি এর জন্য যোগ্য হবেন। এ ছাড়া লাইফ সায়েন্সে স্নাতক এবং দুই বছরের অভিজ্ঞতাসহ কৃষিতে ডিপ্লোমাধারী প্রার্থীরা যোগ্য হবেন।

Advertisement
Advertisement

আবেদন প্রক্রিয়া

এই স্কিমের সুবিধাগুলি পেতে, আবেদনকারীকে প্রদত্ত তারিখ এবং সময় পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আগ্রহী আবেদনকারীরা কৃষি বিভাগের ওয়েব পোর্টাল https://onlinedbtagriservice.bihar.gov.in/pp/index2.html-এ গিয়ে আবেদন করতে পারেন।

আবেদনের সাথে, শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতার শংসাপত্র, বসবাসের শংসাপত্র, কাস্ট সার্টিফিকেট, প্যান কার্ড, আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক পাসবুক সম্পর্কিত মার্কশিট এবং শংসাপত্রের একটি অনুলিপি প্রয়োজন। এই স্কিমের জন্য আবেদন করার শেষ তারিখ ১৫ জানুয়ারী।

জেনে নিন কত ভর্তুকি পাবেন

একটি কৃষি ক্লিনিক স্থাপনের জন্য আনুমানিক খরচ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এই খরচের ৫০ শতাংশ অর্থাৎ সর্বাধিক ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনুদান-সহায়তা হিসাবে দেওয়া হবে এবং খরচের অবশিষ্ট পরিমাণ আবেদনকারীদের নিজেদেরকেই বহন করতে হবে। এই প্রকল্পের অধীনে, নির্বাচিত সুবিধাভোগীরা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে প্রকল্পের সুবিধাগুলি পেতে সক্ষম হবেন। ভর্তুকির পরিমাণ দুটি সমান কিস্তিতে দেওয়া হবে।

Advertisement

Related Articles

Back to top button