Today Trending Newsনিউজপলিটিক্সরাজ্য

Alapan Bandyopadhyay: ছুটির দিন বিকেলে হঠাৎই নবান্নে সস্ত্রীক আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়

দিল্লিতে ফিরে যাবেন কি আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়?

Advertisement
Advertisement

গত শুক্রবার থেকে বঙ্গ রাজনীতিতে আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে হঠাৎ করে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে ডেকে নেওয়ার প্রসঙ্গ। তার হাতে মাত্র আর কয়েক ঘন্টা সময়। তার মধ্যেই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তিনি দিল্লি পাড়ি দেবেন কিনা। এমনকি এরমধ্যেই নবান্ন থেকে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠানো হয়েছে যে তারা এই মুহূর্তে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ছাড়তে পারবে না।বর্তমানে এই টানাপোড়েন জাতীয় রাজনীতিতে আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরইমধ্যে জানা গিয়েছিল সোমবার দিল্লি যাচ্ছেন না আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। বরং তিনি নবান্নের মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা প্রধান সচিবদের বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন।

Advertisement
Advertisement

তবে এর মাঝে জল্পনা বাড়িয়ে আজ অর্থাৎ রবিবার ছুটির দিনে বিকেলের দিকে সস্ত্রীক আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে যান। তারা বিকেল ৪:৫০ নাগাদ নবান্নে পৌঁছান। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এর সাথে একই সময়ে নবান্নে প্রবেশ করেন তার স্ত্রী অর্থাৎ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। তারা দুজনে প্রায় ঘণ্টা তিনেক নবান্নে উপস্থিত ছিলেন। তারপর ৭:৪০ নাগাদ সস্ত্রীক আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে বেরিয়ে যান। কিন্তু ছুটির দিন বিকেলে হঠাৎ করে কেন নবান্নে গেলেন মুখ্যসচিব? তাহলে তিনি কি যাচ্ছেন দিল্লিতে? এই প্রশ্নতেই উত্তাল গোটা বঙ্গ রাজনীতি।

Advertisement

আসলে কিছুদিন আগেই রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাকরির মেয়াদ তিন মাস বৃদ্ধি করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী তার চলতি মাসে দিল্লি যাওয়ার কথা নয়। কিন্তু হঠাৎই কেন্দ্র আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়ে দিল্লিতে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। কেন্দ্র সরকারের এমন কাজ কোনভাবেই মেনে নেয়নি রাজ্য সরকার। নবান্ন থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে তারা এখন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়তে পারবেন না। তিনি বর্তমানে রাজ্যের করোনা ও ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কেন্দ্রকে তাদের নির্দেশ খারিজ করার অনুরোধ জানানো হলেও তারা কোনো প্রতুত্তর দেয়নি। কার্যত এই বিষয়ে জাতীয় রাজনীতি তোলপাড় হচ্ছে। তবে এরপর আগামীকাল আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কি সিদ্ধান্ত নেবেন তার দিকে চেয়ে রয়েছে অনেকেই।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button