মাইথোলজি

নানা জায়গার কালীর মূর্তির সম্পর্কে কিছু তথ্য!

Advertisement
Advertisement

কালো মেয়ের পায়ের তলায় দেখে যা আলোর নাচন মনে পড়ে এই সেই শ্যামা সংগীত কে? সত্যিই যেনো আলোর নাচন। অমন কালো রূপের কাছে যেন বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সব এক হয়ে যায়। চলুন জেনে নিই কোথায় কোথায় কালী কিভাবে পূজিতা হন।

Advertisement
Advertisement

মধ্যপ্রদেশের কালী: শাডোল জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে শোন নদীচলেছে  উত্তর প্রদেশের মির্জাপুরে। সেখান থেকে পূর্ব দিকে বিহারের -ডেহেরি অন শোন হয়ে গঙ্গায় মিলিত হয়েছে। এই শোন নদীর উৎস স্থলেই দেবী কালী ও ভৈরব অসিতাঙ্গ বিরাজ করছেন। দেবী এখানে কালী রূপে অবস্থিত। কালি অর্থাৎ কাল বিজয়িনী, মহাশক্তি, মহাবিদ্যা, অবিনাশী, সৃষ্টি, স্থিতি, মহাকালের শক্তি।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গের মেলাই চন্ডী : বর্তমান আমতার হাটতলা এই মন্দিরটি অবস্থিত। কলকাতার হাটখোলার লবণ ব্যবসায়ী কৃষ্ণচন্দ্র দত্তই মন্দির তৈরি করেন আর মন্দির পুনর্গঠনে নন্দলালের মতো জড়িয়ে আছে। মন্দিরসহ গ্রামটির বেশকিছু অংশই দামোদরের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।  আমতার এই দেবী মেলাই মা। মেলাই কথাটার অর্থ বোধহয় মালাইচাকি। মালাই কথার অপপ্রয়োগ। অর্থাৎ চালু কথায় মালাই হতে মেলাই কথাটির উৎপত্তি  হয়েছে। মন্দিরের পাশেই দেবীর মন্দির আছে। বুদ্ধ পূর্ণিমায় মন্দির স্থাপন দিবস শ্রীদেবীর উদ্দেশ্যে ছাগ বলি দেওয়া হয়। এখানে দেবী চণ্ডী রূপে পূজিতা। চণ্ডী ও দুর্গার আরেক রূপ। চন্ডাসুরকে কে বধ করে দেবী চণ্ডী নাম ধারণ করেন।

Advertisement
Advertisement

ভদ্রকালী : এটি কুরুক্ষেত্রে অবস্থিত।এখানে সতীর ডানদিকের গোড়ালি পতিত হয়েছিল। শোনা যায় পাণ্ডবরা শ্রীকৃষ্ণের পরামর্শেই মন্দিরে দেবীর পূজা দেন এবং আর এখানে কামনা চরিতার্থে  ভক্তগণ মাটির ঘোড়া দান করে থাকেন। এখানে দেবী ভদ্রকালী রূপে অধিষ্ঠিতা। পুরুষশূন্য স্বরূপ তারমধ্যে অস্ফুট। যে শক্তি তাই হল গতি। শক্তির এইভাব হল  মহামায়া। মহামায়া হলেন কাল বা সময় এর নিয়ন্ত্রা। তিনি রহস্যময়ী, তিনি অব্যক্ত, তিনি অন্ধকারাচ্ছন্ন, তিনি কাল বা সময় তাই তিনি কালী।

Written by – শ্রেয়া চ্যাটার্জী

Advertisement

Related Articles

Back to top button