মাইথোলজি

নববর্ষে সিদ্ধিদাতা গণেশের সমৃদ্ধিলাভের নানান খুঁটিনাটি জেনে নিন

Advertisement
Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি –  মহেশ্বর এবং পার্বতীর দ্বিতীয় পুত্র হলেন গণেশ। হিন্দুদের অন্যতম পুজো গুলির মধ্যে আরেকটি জনপ্রিয় পুজো গণেশ পুজো। গুপ্ত যুগের শেষ ভাগ থেকে তার পুজা সাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল এদেশেই অদ্ভুত আকৃতির দেবতার পূজা প্রচলন কিছুদিন পর থেকেই চীন, জাপান, কম্বোজ ছড়িয়ে পড়ে। ঋগ্বেদ প্রভৃতি গ্রন্থে গণপতি বৃহস্পতি দেবতার নামান্তর।

Advertisement
Advertisement

পশ্চিমবঙ্গে গণেশ অত্যন্ত জনপ্রিয় দেবতা। ঘরে ঘরে প্রত্যেকের মনের মধ্যে পূজিত হন। তবে শুধুমাত্র গণেশের নামে উৎসর্গিত কোন উৎসব পশ্চিমবাংলায় দেখা যায়না। এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় উৎসব পালিত হয় পহেলা বৈশাখের দিন। প্রত্যেক বাঙালি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান এই দিন গণেশের পুজো করেন। কলকাতার কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের গণেশ, লক্ষ্মী প্রতিমা এবং হালখাতা নিয়ে পুজো দিতে চান সকলেই।

Advertisement

প্রাচীন সংস্কৃত অভিধান ‘অমরকোষ’ গ্রন্থে গণেশের অনেকগুলো সমার্থক শব্দ পাওয়া যায় যথা বিনায়ক, বিঘ্নরাজ, গণাধিপতি, একদন্ত, হেরম্ব, লম্বোদর, গজানন।

Advertisement
Advertisement

তাকে অনেক পৌরাণিক উপাখ্যান এ ‘বিঘ্নরাজ’ অর্থাৎ বিঘ্ন উৎপাদনকারী হিসাবে বলে বর্ণনা করে থাকে। তবে তার পূর্ণ তুষ্টির সাধন হলেই তিনি হয়ে যান ‘বিঘ্ন বিনাশক সিদ্ধিদাতা’। পঞ্চ উপাসনার অন্যতম অঙ্গ হিসাবে স্মার্ত মতের হিন্দুগণ তাদের বাড়িতে অন্নপ্রাশন, উপনয়ন এবং বিবাহাদি সংস্কার সমূহের অনুষ্ঠানকালে এবং নৈমিত্তিক পূজা-পার্বণে এই বিনাশক সিদ্ধিদাতা গণেশের পূজা করেন।

Advertisement

Related Articles

Back to top button