কলকাতানিউজ

বহাল রইল আগের রায়, ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের আবেদন খারিজ করে দিল হাইকোর্ট

Advertisement
Advertisement

কলকাতা: আজ, বুধবার মহাপঞ্চমী। যদিও এবারের পুজো করোনা পরিস্থিতিতে অন্যবারের থেকে অনেকটাই আলাদা। মূলত, কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পুজো মেতে ওঠে দর্শকের ভিড়ের মাধ্যমে। কিন্তু এ বছরে দূর্গোৎসবের প্রাণভোমরা সেই ভিড়কে কার্যত ‘বাপি বাড়ি যা’ বলে দেওয়া হয়েছে। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এক জনস্বার্থ মামলা করা হয় হাইকোর্টে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল যে, প্রত্যেক ছোট-বড় পুজো মণ্ডপে নো এন্ট্রি বাফার জোন লিখে রাখতে হবে। এবারের পুজো হবে দর্শকশূন্য। কিন্তু ফোরাম ফর দূর্গোৎসবের পক্ষ থেকে এই রায়ের পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে এক রিভিউ পিটিশন জমা দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও চিঁড়ে ভিজল না। ফোরামের আবেদনে সাড়া দিল না হাইকোর্ট। বহাল থাকল আগের রায়। তবে মণ্ডপে ঢোকার ক্ষেত্রে দেওয়া হল কিছুটা ছাড়।

Advertisement
Advertisement

তাহলে মণ্ডপের নো এন্ট্রি জোন শিথিল করা হল কি?  না। নো এন্ট্রি জোন একইভাবে বহাল রইল। শুধুমাত্র পুজো কমিটির সদস্যদের বা পাড়ার লোকজন ঢোকার ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে কিছু ছাড়। ছোট পুজোয় ১৫ জন ও বড় পুজোয় ৪৫ জন করা হল। কিন্তু তাতেও দর্শকদের কোনও ছাড় নেই।

Advertisement

হাইকোর্টের আইনজীবী কল্যাণ বন্ধ্যোপাধ্যায় ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারে আরও একটু হাতখোলা হোক হাইকোর্ট, শিথিল করা হোক নো এন্ট্রি জোন, এসব নিয়ে দাবি জানিয়েছিলেন। কারণ, পুজোয় শুধু মণ্ডপ পরিদর্শন নয়, রয়েছে  আনুষাঙ্গিক নানা পুজো-অর্চনা। প্রশ্ন উঠছে সে সবের কী হবে? বাদ পড়বে অঞ্জলি, সিঁদুর খেলা! তিনি আর্জিতে জানিয়েছেন,  সিঁদুর খেলা নারীর আবেগ, প্রবেশ করতে দেওয়া হোক তাদের মণ্ডপে। রাতের দিকে নো এন্ট্রি জোনের নিয়মকে শিথিল করা হোক।

Advertisement
Advertisement

কিন্তু সে সব নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনওরকম রায় দেয়নি হাইকোর্ট। এমনকি ঢাকিদেরও প্রবেশ নেই নো এন্ট্রি জোনে। ঢাকিদের মাস্ক পরে থাকতে হবে, অন্যান্য নিয়ম পালন করতে হবে। তবে দুর্গাপুজোর অন্যতম আকর্ষণ সিঁদুর খেলা হবে কিনা, এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেয়নি হাইকোর্ট। সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন বাঙালি মহিলারা।

Advertisement

Related Articles

Back to top button