নিউজপলিটিক্সরাজ্য

আগে নন্দীগ্রাম, পরে ভবানীপুর, কোথায় লড়বেন মমতা ব্যানার্জি? উঠছে প্রশ্ন

ভবানীপুর তার বড় বোন এবং ছোট বোন হল নন্দীগ্রাম, এরকমটাই জানুয়ারি মাসে নন্দীগ্রামের তেখালি জনসভা থেকে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী

Advertisement
Advertisement

২৯৪টি আসন পশ্চিমবঙ্গের। তারমধ্যে এবারে ভবানীপুর এবং নন্দীগ্রাম আসনে লড়াই করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ভবানীপুর তার বড় বোন এবং ছোট বোন হল নন্দীগ্রাম, এরকমটাই জানুয়ারি মাসে নন্দীগ্রামের তেখালি জনসভা থেকে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল নির্বাচন কমিশনের ভোটের নির্ঘণ্ট ও ঘোষণা হয়ে গেল, এবং তাদের জানা গেল ভবানীপুরে ভোটগ্রহণ হবে সপ্তম দফায় অর্থাৎ ২৬ এপ্রিল তারিখে। আর নন্দীগ্রামে ভোট হবে ১ এপ্রিল তারিখে। এবার কি তাহলে দুটি কেন্দ্র থেকেই ভোটে দাঁড়াতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এই প্রশ্নই এখন ঘুরছে রাজনৈতিক মহলে।

Advertisement
Advertisement

বাংলায় আটটি দফায় নির্বাচন ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। ২৯৪টি আসনের জন্য ভোট গ্রহণ করা হবে ৩৪ দিন ধরে। তবে এবারের নির্বাচনে গ্রাম এবং শহরের মধ্যে লড়াই উস্কে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। কলকাতা শহরে জোড়া ফুল শিবিরের ঘাটি মজবুত, তাই গ্রামের মানুষকে কাছে টানতে তিনি নানান ধরনের কৌশল গ্রহণ করতে শুরু করেছেন। তিনি বামপন্থীদের অনুরোধ জানাচ্ছেন যেন বিজেপিকে ভোট দেওয়া হয়। আবার নিজেকে গ্রামের ছেলে বলে সামনে নিয়ে এসে গ্রামের মানুষের আবেগকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন তিনি। এই সমস্ত জল্পনা উস্কে দিয়ে পাল্টা চালে শুভেন্দুকে মাত করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা শুভেন্দু চ্যালেঞ্জ করেন মমতা ব্যানার্জিকে। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন নন্দীগ্রাম থেকে যদি তিনি দাঁড়ান তাহলে তৃণমূল দল নেত্রী কে ৫০ হাজারের বেশি ভোটে হারাবেন। তবে তিনি শর্ত দিয়েছেন, নন্দীগ্রাম এবং ভবানীপুর একটি কেন্দ্র থেকে দাড়াতে হবে তাকে, যাতে একটিতে হেরে গেলেও অন্য টিকে আকরে ধরে নির্বাচনী বৈতরণী পার না হয়ে যান তিনি।

Advertisement

যদিও তৃণমূল শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে এখনো পর্যন্ত কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। এখনো পর্যন্ত কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়াবেন কিনা। তবে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর ওপর এই গুরুদায়িত্ব ছেড়েছেন তিনি। সুব্রত এক দশক আগে নিজের জেতা ভবানীপুর মমতার হাতে তুলে দিয়েছিলেন। ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুরের বিধায়ক ছিলেন সুব্রত। সেই সময় দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরে মমতা বিধানসভা নির্বাচনের পরে উপ নির্বাচনের পর সুব্রত বক্সীর কেন্দ্র থেকে বিধানসভায় গিয়েছিলেন, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র থেকে লোকসভায় যান সুব্রত বক্সী। তখন থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাঁড়িয়ে আসছেন ভবানীপুর নির্বাচন কেন্দ্র থেকে। এবার এটাই দেখার তিনি এবারে শুধুমাত্র ভবানীপুরে দাড়ান নাকি দুটি থেকেই।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button