দেশনিউজ

মুরগী অথবা সামুদ্রিক প্রানীর মাংসে করোনা ভাইরাসের জীবানু নেই : বৈজ্ঞানিক গবেষণা

Advertisement
Advertisement

এদিন FSSAI প্রধান জি এস জি অয়নগর জানিয়েছেন, মুরগি, মাটন অথবা কোনো সামুদ্রিক প্রানীর মাংস থেকে ছড়িয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এই বক্তব্য সম্পুর্ন ভিত্তিহীন বলে দাবী করেছেন তিনি। তবে এটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা করে জানা যাবে কিভাবে এমন ভাইরাসের উৎপত্তি হল, মূলত এই করোনা ভাইরাস তাপমাত্রা যুক্ত অঞ্চলে কোনোমতে বেঁচে থাকতে পারে না। তাই গ্রীষ্মপ্রধান দেশে এই বিষয় নিয়ে ভয় পাওয়ার কারন কম বলে জানিয়েছে FSSAI প্রধান।

Advertisement
Advertisement

ভারত একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় দেশ তাই গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা সবসময় বেশি থাকে। যখন এই তাপমাত্রা ৩৫-৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে অতিক্রম করবে তখন আর ভাইরাসটি কোনোমতেই টিকে থাকতে সক্ষম হবে না। তিনি এবিষয়ে বলেছেন, ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে যাতে তাপমাত্রা তাড়াতাড়ি বেড়ে শীত বিদায় নেয়।

Advertisement

আরও পড়ুন : করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লো বাংলাতেও, বেলেঘাটা আইডিতে চিকিৎসাধীন ৭

Advertisement
Advertisement

এখনো পর্যন্ত ভারতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে ২৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে FSSAI -এর প্রধান জানিয়েছেন, মুরগি, মাটন এবং সামুদ্রিক খাবার খাওয়ার ফলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন আশঙ্কা সম্পুর্ন ভুল এবং বৈজ্ঞানিক ভিত্তিহীন।

মানুষকে সাবধানতা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসটি অন্যান্য ভাইরাসের মতোনই রোগের কারন দেখা যায় তাই এর ভ্যাকসিন তৈরি করা জটিলতার বিষয়। সরকার ভাইরাসটি চেনার আলাদা কোনো সূত্র বের করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

গত ২ মার্চ, পোল্ট্রি ব্যয়সায়ীরা সরকারের কাছে ত্রাণ প্যাকেজ দাবি করে যে, মানুষের মনে ভুল ধারনা মুরগি খেলে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হতে পারে এমন জাল সংবাদের কারনে তাদের এক মাসে প্রায় ১,৭৫০ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে।অল ইন্ডিয়া পোল্ট্রি ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন মন্তক বলেছিলেন, মুরগির দাম প্রতি কেজিতে এখন ১০-৩০ টাকায় নেমে গেছে এবং মুরগির চাহিদা কমে যাওয়ার গড় উৎপাদন ব্যয় ৮০ টাকা করে প্রতি কেজিতে খরচ হচ্ছে।

Advertisement

Related Articles

Back to top button