রাজীব ঘোষ : কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে।সমস্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে পাকিস্তান।বিশ্বের অন্যান্য শক্তিধর দেশগুলো কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে।তবুও পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেই চলেছে।পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে পাক প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি ভারতের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে বলেছেন, পাকিস্তান যুদ্ধ চায় না।তবে ভারত সেই অবস্থা তৈরী করলে পাকিস্তান যুদ্ধ করতে প্রস্তুত রয়েছে।পাক প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্যের পরেই আমেরিকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত বলেন, অধিকৃত কাশ্মীরে ভারত দমনপীড়ন চালাচ্ছে।
তাই আফগান সীমান্ত থেকে সেনাবাহিনী সরিয়ে নিয়ে কাশ্মীর সীমান্তে মোতায়েন করা হবে।পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়ে স্বাধীনতা দিবস পালন করবেন।সেখানে অ্যাসেম্বলিতে ইমরান খান বক্তৃতা দেবেন বলে জানা গেছে।পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কাশ্মীরের বিষয়ে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান কাশ্মীরবাসীর পাশে রয়েছে। ১৪ ই আগস্ট পাকিস্তান স্বাধীনতা দিবস পালন করবে এবং ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিন ১৫ ই আগস্ট তারা কালা দিবস পালন করবে বলে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।পাক প্রেসিডেন্ট আলভি বলেন, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের বিষয়ে তারা UNSC তে অভিযোগ জানাবে।
পাকিস্তান সবসময় কাশ্মীরের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছে।ফলে বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যুতে যুদ্ধের অবস্থা তৈরী করতে চাইছে।বিশ্বের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ দেশ কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের পাশে দাঁড়ালেও পাকিস্তান সেটা সহ্য করতে পারছে না।এখান থেকে একটা বিষয় পরিস্কার পাকিস্তান বরাবর কাশ্মীরকে ব্যবহার করতে চাইছে।ভারতের এই সিদ্ধান্তের ফলে আগামী দিনে সেটা যে সম্ভব হচ্ছে না সেটা বুঝতে পেরেই পাকিস্তান এই অবস্থা তৈরী করতে চাইছে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করে।