ভারতীয় রেল বর্তমানে দেশবাসীর কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আনছে। আর তার উদাহরণ হল গোটা ভারতে বন্দে ভারত ট্রেনের রুট চালু করা। সাধ্যের মধ্যে খরচ করে ভারতীয় রেলওয়ে ব্যবহার করতে পছন্দ করেন সকলেই। দূরে কোথাও যেতে হলে এক্সপ্রেস ট্রেনে আগে থাকতেই ট্রেনের টিকিট বুক করতে হয়। আর এই যাত্রীসেবা উন্নত করার লক্ষ্যে ভারতীয় রেল ও IRCTC নিরন্তন পরিশ্রম করে। IRCTC এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হলো, যদি ট্রেন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দুই ঘণ্টা বা তার বেশি দেরিতে চলে, তবে যাত্রীদের বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করা হয়। এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানতে এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
বিনামূল্যে খাবারের সুবিধা
যাত্রীরা ট্রেনের দেরি হওয়ার কারণে আইআরসিটিসি থেকে বিভিন্ন ধরনের খাবারের বিকল্প গ্রহণ করতে পারেন। দিনের সময়ের উপর নির্ভর করে, যাত্রীদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন খাবারের প্যাকেজ প্রদান করা হয়। শুরুতে, যাত্রীদের সাধারণত বিস্কুটের সাথে চা বা কফি দেওয়া হয়। প্রতিটি চা বা কফি কিটের সঙ্গে থাকে চিনির বা চিনিমুক্ত স্যাচেট এবং মিল্ক ক্রিমার দেওয়া হয়। সকাল বা সন্ধ্যায় যাত্রীদের জন্য চারটি পাউরুটি (সাদা বা বাদামী), মাখন, ২০০ মিলি ফলের পানীয় এবং একটি কাপ চা বা কফি দেওয়া হয়। লাঞ্চ এবং ডিনারের জন্য বিভিন্ন অপশন থাকে, যেমন ছোলা, কিডনি বিন বা হলুদ মসুর ডালের সাথে ভাত। এছাড়া, প্রতিটি খাবারের সঙ্গে একটি আচারের স্যাচেট পরিবেশন করা হয়।
রিফান্ড নীতি
যদি ট্রেনটি দীর্ঘ সময় (তিন ঘণ্টা বা তার বেশি) দেরি করে বা রুট পরিবর্তন হয়, তবে যাত্রীরা তাদের টিকিট বাতিল করে পুরো টাকা ফেরত পেতে পারেন। এই রিফান্ডের সুবিধা নিতে যাত্রীদের বুকিং চ্যানেলের মাধ্যমে টিকিট বাতিলের অনুরোধ করতে হবে। যারা রেলওয়ে কাউন্টার থেকে টিকিট কিনেছেন, তারা ব্যক্তিগতভাবে কাউন্টারে গিয়ে টিকিট বাতিল করে নগদ রিফান্ড পেতে পারবেন। খাবার ও রিফান্ডের পাশাপাশি, IRCTC তাদের যাত্রীদের অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করে, বিশেষ করে যখন ট্রেনটি দেরি করে। যাত্রীদের অপেক্ষা করার জন্য কোনো অতিরিক্ত ফি ছাড়াই স্টেশনগুলোতে ওয়েটিং রুমের সুবিধা দেওয়া হয়। রাতের সময়, যাত্রীদের জন্য স্টেশনগুলোতে খাবারের স্টলও খোলা থাকে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের (RPF) অতিরিক্ত কর্মীও মোতায়েন করা হয়।