দেশনিউজ

সদ্যোজাত মেয়ের থেকেও কর্তব্য আগে, মানবিকতার নজির গড়লেন পুলিশ কনস্টেবল

Advertisement
Advertisement

বিশ্ব জুড়ে ত্রাস সৃষ্টিকারী নোভেল করোনা ভাইরাসকে আটকানোর কোন উপায় খুঁজে পায়নি কোন বিজ্ঞানী। ফলে, করোনা রুখতে একমাত্র ভরসা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। আর এই কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে পুলিশ কর্মীরা। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চিকিৎসক, নার্সদের সঙ্গে প্রথম সারিতে থেকে সমানে লড়ে চলেছেন তারা। দেশের মানুষের সুরক্ষায় সাধারণ মানুষের কাছে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে এই সময় একমাত্র মাধ্যম এই পুলিশ।

Advertisement
Advertisement

আর এই কাজে নিজের কর্তব্য পালনকে এক অভূতপূর্ব উচ্চতায় নিয়ে গেলেন উত্তরপ্রদেশের এক পুলিশ কনস্টেবল। তিনি আজ সারা এক নজির রেখে গেলেন। তিনি দেখালেন, কর্মই আগে। তারপর বাকী সব কিছুই। গ্রীষ্মের দুপুরে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতায় নিজের স্মার্টফোনের দিকে তাকিয়ে চোখ ছলছল করে উঠলেও ডিউটি ছেড়ে বাড়ি ফেরার কথা ভাবতে পারেন না তিনি।

Advertisement

তিনি উত্তরপ্রদেশের পুলিশ কনস্টেবল বছর পঁচিশের রমাকান্ত নাগার। মাত্র ১৩ দিন এক কন্যা সন্তানের পিতা হয়েছেন। তবে দেশের প্রতি কর্তব্য পালনের জন্য ফেরা হয়নি বাড়ি। এখনও দেখেননি মেয়ের মুখ। দুধের স্বাদ ঘোলে মিটিয়ে স্মার্টফোনেই দেখে নিচ্ছেন সদ্যোজাত মেয়েকে। তবু, বাড়ি যাওয়ার কথা জিজ্ঞেস করলে বলছেন, ‘আমার সহকর্মীরা নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। তাই আমিও বাড়ি যাওয়ার কথা ভাবছি না।’

Advertisement
Advertisement

পুলিশ কনস্টেবল রমাকান্ত নাগার বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের ইটাবিতে কর্মরত। এখনও পর্যন্ত এখানে এক জনের শরীরে কোভিড ১৯-এর সংক্রমণ ধরা পড়েছে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জিততে বদ্ধপরিকর রমাকান্ত জানিয়েছেন, একেবারে লকডাউন উঠে গেলে বাড়ি ফিরে দেখবেন সদ্যোজাত মেয়েকে।

Advertisement

Related Articles

Back to top button