রাজীব ঘোষ : জল্পনা চলছিল কলকাতা করপোরেশনের প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে।কিছুদিন আগে রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য শোভনকে ফোন করেন।পাশাপাশি তৃণমূলে ফেরার জন্য তাকে অনুরোধ করেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।আলোচনা শুরু হয়েছিল তাহলে কী শোভন সব মিটিয়ে নিয়ে তৃণমূলে ফিরছেন?একাধিক বার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেষ্টা করেছেন শোভনকে ফিরিয়ে আনার জন্য।কলকাতা করপোরেশনের মেয়রের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর থেকে রাজ্য বিধানসভায় তাকে দেখা যায় নি।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য নেতারা শোভনকে দলে ফেরাতে চেষ্টা করেছিলেন।স্পিকারের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল শোভনের, সেটা তিনি স্বীকার করেছিলেন।বিধানসভায় গিয়ে দেখা করবেন বলে জানিয়েছিলেন।কিন্তু তৃণমূলের সঙ্গে আরও দূরত্ব বাড়ালেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।এবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার মৎস্য ও প্রানীসম্পদ বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি।
বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন শোভন বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকায় দীর্ঘদিন ওই স্ট্যান্ডিং কমিটির মিটিং হচ্ছে না।স্ট্যান্ডিং কমিটির অন্যান্য সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।শোভন বন্দ্যোপাধ্যায় দেখা করবেন বলে জানিয়েছিলেন।মঙ্গলবার তিনি হাজির না হয়ে ফ্যাক্স মারফত বিধানসভায় পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন।স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পদত্যাগপত্র পাইনি।নৈতিকতা থাকলে ওর অনেক আগেই পদত্যাগ করা উচিত ছিল।