রাজীব ঘোষ : তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য জুড়ে দিদিকে বলো কর্মসূচির মাধ্যমে জনসংযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।নির্বাচন কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ মতো দলকে ফের রাজ্যের ক্ষমতায় নিয়ে আসতে মমতা একের পর এক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন।আবার তার দলের বিধায়ক ও বিধাননগর করপোরেশনের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত দিদিকে বলো কর্মসূচির কোনো প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন।বিদেশ থেকে ফিরে এসে সব্যসাচী দত্ত বলেন, দিদিকে বলোতে আমি নেই।
আমি সরাসরি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করি।আমি মনে করি, আমার জন্য দিদিকে বলো কর্মসূচির কোনো প্রয়োজন নেই।এর আগেও সব্যসাচী দলের ঠিক উল্টো পথে হেঁটে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেছেন।সম্প্রতি মধ্যমগ্রামের প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জলাভূমি ভরাট নিয়ে প্রশ্ন করে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিলেন।সেই বৈঠকে সব্যসাচী দত্ত বলেন, বারাসাতে প্রচুর বেআইনি জলাভূমি ভরাট হচ্ছে।তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে নিজের বিধানসভা এলাকার কথা বলতে বলেন।তারপর সব্যসাচী বলেন, রাজারহাট নিউটাউন মৎস্য দফতর চাষ করে।সেখানে ২৩ টা ভেড়ি আর ৪৬ টা ঝিল আছে।জেলাশাসকের কাছে সেই বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছিল।কিন্তু জেলাশাসক বলেন কোনো রেকর্ড নেই।
এটা দেখতে হবে।মমতা তাকে বলেন, ঠিক আছে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগে সব্যসাচী দত্তকে দলের এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, তুই এখনো তৃণমূলে আছিস কেন?বিজেপিতে চলে যা।পরবর্তীতে সব্যসাচী বিধাননগরের মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দেন।তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত দলকে বিভিন্ন সময় অস্বস্তিতে ফেলেছেন।বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে।তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়ে চলেছেন বলে মনে করেন রাজনৈতিক মহল।
কিছুদিন আগে নিউটাউনে ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়।বোমাবাজি, গুলি চলে।পুলিশ সেই ঘটনায় ১৬ জনকে গ্রেফতার করে।সব্যসাচী দত্ত অভিযোগ করেন, পুলিশ কেবল আমার ছেলেদের গ্রেফতার করছে।তাপস চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না।তবে বিধাননগরের নতুন মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীকে শুভেচ্ছা জানান সব্যসাচী।