রাজীব ঘোষ: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অক্টোবরে ভারতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সেই আমন্ত্রণ পত্রটি তুলে দেন।বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর।ভারত জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এন আর সি)-র মাধ্যমে বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য উদ্যোগী হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এন আর সি-র মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে তাদের ফের বাংলাদেশে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছেন।সেই বিষয়ে বাংলাদেশ যাতে কোনো কিছু বলতে না পারে, তাই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, জাতীয় নাগরিক পঞ্জি ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয়।
এস জয়শঙ্কর এদিন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দেড় ঘন্টার আলোচনা করেন।তখন বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল।সেই সময় ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, এন আর সি বা জাতীয় নাগরিক পঞ্জি ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয়।এই ব্যাপারে সেখানে কোনও কথা বলার প্রয়োজন নেই।বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করার আর্জি নিয়ে সম্প্রতি অসমের একটি সংস্থা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল।সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এন আর সি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।এদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এস জয়শঙ্কর বৈঠক করেছেন।বাংলাদেশের আতিথেয়তার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান।ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তিস্তার জলবন্টন চুক্তি নিয়েও ভারতের অবস্থান বদল হয় নি বলে জানিয়েছেন।জয়শঙ্কর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন।তিনি লেখেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে বাংলাদেশের অংশীদার হতে পেরে গর্বিত ভারত।বিদেশমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকে মাল্যদান করে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন।