ব্যবসা-বানিজ্য ও অর্থনীতি

ভবিষ্যতের পরিকল্পনার জন্য এটি সেরা বিকল্প, পেয়ে যান প্রতি বছরে ৭২ হাজার টাকা করে

কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে অটল পেনশন যোজনা

Advertisement
Advertisement

যারা চাকরি করে নিজের জীবন নির্বাহ করে থাকেন তাদের সকলের জন্যই নিজেদের ফিউচার প্ল্যানিং একটা অন্যতম বিষয় হয়ে ওঠে। বৃদ্ধ বয়সে যেন তার পরিবার কোনো রকম সমস্যার মুখোমুখি না হয়, সেই জন্য সব সময় ফিউচার প্ল্যানিং অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে সমস্ত চাকরি পেশা মানুষের কাছে। যদি আপনি সময় থাকতে থাকতে ফিউচার প্ল্যানিং না করেন তাহলে আপনি বৃদ্ধ বয়সে গিয়ে সমস্যায় পড়ে যেতে পারেন এবং আপনার শেষ দিনগুলো খুব খারাপ ভাবে কাটতে পারে। যদি আপনি সেরকম ভাবে ফিউচার প্ল্যানিং না করেন তাহলে আমাদের কাছে রয়েছে কিছু ফিউচার প্ল্যানিং এর অপশন। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সমস্ত অপশনের ব্যাপারে যার মাধ্যমে আপনি খুবই সহজে নিজের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখতে পারবেন এবং নিজের ভবিষ্যতের সমস্ত ধরনের আর্থিক সুরক্ষা করতে পারবেন, যাতে আপনাকে আপনার বৃদ্ধ বয়সে আপনার সন্তানের কাছে হাত না পাততে হয় টাকার জন্য।

Advertisement
Advertisement

আপনাদের জানিয়ে রাখি, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকেই এরকম একটি যোজনা সামনে নিয়ে আসা হয়েছে যার মাধ্যমে আপনি খুবই সহজে আপনার শেষ দিন গুলো কাটিয়ে নিতে পারবেন পেনশনের পয়সায় কোন কাজ না করেই। এই বিশেষ রিটায়ারমেন্ট প্ল্যানের নাম দেওয়া হয়েছে অটল পেনশন যোজনা। কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত সকল মানুষের জন্যই এই অটল পেনশন যোজনা শুরু করা হয়েছে। এই যোজনার মূল লক্ষ্য হলো, তাদেরকে পেনশন প্রদান করা যারা মূলত অন্য কোন যোজনা থেকে পেনশন গ্রহণ করতে পারেন না, এবং তারা নিজেদের ফিউচার প্ল্যানিং নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত রয়েছেন। আপনারা যদি এই যোজনায় প্রতি মাসে ১০০ টাকা করে নিবেশ করেন, তাহলে ৬০ বছর বয়সের পরে আপনাকে প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা করে পেনশন দেওয়া হবে। যদি স্বামী স্ত্রী একসঙ্গে মিলে এই অটল পেনশন যোজনা একাউন্ট খুলেন তাহলে প্রতি মাসে ৬০০০ টাকা পর্যন্ত মাসিক পেনশন পাওয়া যাবে। অর্থাৎ প্রতি বছরে আপনারা সর্বাধিক ৭২ হাজার টাকা পর্যন্ত বেনিফিট গ্রহণ করতে পারেন এই অটল পেনশন যোজনার মাধ্যমে।

Advertisement

আপনার বয়স যদি ১৮ বছর হয় তাহলেই আপনি এই অটল পেনশন যোজনা প্রকল্পে নিজের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। সর্বাধিক ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত এই প্রকল্পের নাম নথিভুক্ত করা যাবে এবং টাকা জমা দেওয়া শুরু করা যাবে। এই যোজনায় নিবেশ করলে আপনাকে নূন্যতম ১০০০ টাকা থেকে সর্বাধিক ৫০০০ টাকা পর্যন্ত পেনশন দেওয়া হবে। এই দুজনেই আপনারা অটো ডেবিট এর সুবিধা পেয়ে যাবেন। অর্থাৎ আপনার ব্যাংক একাউন্ট থেকে প্রতি মাসে অটোমেটিক ভাবে টাকা কেটে এই যোজনায় যুক্ত হতে শুরু করবে।

Advertisement
Advertisement

যার নামে এই প্রকল্প শুরু করা হয়েছে তিনি যদি ৬০ বছর বয়সের আগে মারা যান তাহলে তার স্ত্রী এই যোজনা চালু রাখতে পারেন। এবং তারপরে সেই পেনশন তার স্ত্রীর কাছে পৌঁছে যাবে। যদি স্বামী স্ত্রী দুজনের মৃত্যু হয় তাহলে নমিনির কাছে পুরো পয়সা পৌঁছে দেওয়া হবে ভারত সরকারের তরফ থেকে।

Advertisement

Related Articles

Back to top button