BB Specialম্যাগাজিন

শিক্ষক দিবস: আমাদের জীবনে শিক্ষক

Advertisement
Advertisement

বর্ষে বর্ষে দলে দলে আসে বিদ্যা মঠতলে
চলে যায় তারা কলরবে।

Advertisement
Advertisement

মা-বাবার পরেই আমাদের কাছে শিক্ষকের স্থান। জীবনে বড় হওয়ার একমাত্র মন্ত্র আমরা পেয়ে থাকি শিক্ষকের কাছ থেকে। বাধা বিঘ্ন পেরিয়ে কিভাবে ঠিক সমুদ্রের অপর প্রান্তে উঠতে হয় সাতার কেটে তার শিক্ষাই আমাদের দেন। শিক্ষকের কাছে তাই প্রতি বছর বছর যখন বিদ্যালয় বা তাদের বাড়িতে ছাত্রছাত্রীর দল আগমন হয়, তারা আপন স্নেহে তাদেরকে গড়ে পিঠে নেন। কিন্তু একটা সময় পরেই সেই দল দল ছাত্রছাত্রীরা বেরিয়ে যায়। কিন্তু তাদের কথা শিক্ষকেরা ভুলতে পারেন না। ছাত্র-ছাত্রীদের তারা সন্তানস্নেহে গড়ে পিঠে লালন পালন করেন।

Advertisement

বিদ্যার সাগর তুমি বিখ্যাত ভারতে
করুণার সিন্ধু তুমি সেই জানে মনে

Advertisement
Advertisement

মাইকেলের লেখা এই বিখ্যাত কবিতাটি বিদ্যাসাগরকে নিয়ে লেখা। কবিতাটি যে মানুষটিকে নিয়ে লেখা তিনি আমাদের প্রথম শিক্ষক। তার হাতে ধরেই আমাদের অ-আ-ক-খ শেখা। তার হাত ধরেই প্রথম মহিলাদের শিক্ষা। তার শিক্ষাতেই বোঝা গিয়েছিল যে সমাজের উন্নতি মেয়েদের উন্নতি ছাড়া হবে না, আর মেয়েদের উন্নতির চাবিকাঠি রয়েছে মেয়েদের শিক্ষার উপরে।

প্রভু তোমা লাগি আঁখি জাগে
দেখা নাই পাই
পথ চাই
সেও মনে ভালো লাগে

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই কবিতা আমাদের শিক্ষকের প্রতি একটা অনুভূতি জাগায়। মা-বাবা জন্ম দিলেও আমাদের কিন্তু প্রথম চক্ষুদান করেন এই শিক্ষকরাই। তাদের দেখানো পথে আমরা অনুসরণ করি বারবার। পথে কোথাও আটকে গেলে তারাই হাত ধরে সেই বাধা-বিঘ্ন আমাদের পার করে দেন।

প্রভু আমার প্রিয় আমার পরম ধন হে
চির পথের সঙ্গী আমার চিরজীবন হে

প্রভু অর্থাৎ শিক্ষক আমাদের সারা জীবনের সঙ্গী আমাদের কাছে একটা পরম ধন অর্থাৎপরম বস্তুর মত।তিনি আমাদের চিরজীবনের সঙ্গী। কখনো অংক না পারা বা কখনো ইংরেজি বুঝিয়ে দেওয়া কখনো বাংলার পদ্য বুঝিয়ে দেওয়াঅথবা জীবনের কঠিন পরিস্থিতিতে বাস্তবকে বোঝানো। সব পরিস্থিতিতে শিক্ষক আমাদের পরম ধন।

এ আমার গুরুদক্ষিণা
গুরুকে জানাই প্রণাম

গুরু আমাদের থেকে কোনকিছু পার্থিব জিনিস চাননা। গুরু আমাদের থেকে কোন কিছু আশাও করেন না। শুধু গুরু আমাদের যে শিক্ষা দেন সেটাই গুরু চান আমরা যেন সেটাকে বজায় রাখতে পারি। এবং তার দেখানো পথে আমরা সঠিকভাবে চলতে পারি। আমরা জীবনে একটা উজ্জ্বল জায়গায় পৌঁছাতে পারি এবং নিজেদের ভবিষ্যতকে আলোয় আলোকিত করতে পারি।

আমি মৃত্যুর চেয়ে বড় এই শেষ কথা বলে
যাব আমি চলে

রবীন্দ্রনাথ আমাদেরকে শিখিয়েছেন কিভাবে মৃত্যুকে জয় করতে হয় । বিদ্যাসাগর থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ হয়ে আমাদের জীবন যখন বালক থেকে তরুণ-,,তরুন থেকে যৌবন, যৌবন থেকে বৃদ্ধ এবং বৃদ্ধ থেকে মৃত্যুর পথগামী হয় তখন আমাদের মন অজানা আশঙ্কায় ভরে ওঠে। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ আমাদেরকে শিখিয়েছেন, কিভাবে সেই মৃত্যুকে জয় করে মৃত্যুঞ্জয় হওয়া যায়।

Written by – শ্রেয়া চ্যাটার্জী

Advertisement

Related Articles

Back to top button