দেশনিউজরাজ্যস্বাস্থ্য ও ফিটনেস

Covid-19 Third Wave: করোনার তৃতীয় ঢেউ কি আগের থেকে ভয়ঙ্কর? সহজে জেনে নিন তিনটি ঢেউয়ের উপসর্গগুলি

Advertisement
Advertisement

বিশ্বজুড়ে কোভিড সংক্রমণ ফের উর্ধ্বমুখী। বিশ্বজুড়ে করোনার সংক্রমব ফের একবার চোখ রাঙাচ্ছে। সকল করোনা চিকিৎসকদের মত, এটাই বুঝি করোনার তৃতীয় ঢেউ। এর আগে দুবছর ধরে করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ পার করে এসেছে গোটা পৃথিবী। তবে চিকিৎসক-মহলের মতে, এই বারে করোনার হানা আগের দু’বারের তুলনায় ততটা ভয়ঙ্কর নয়। কারণ এই বারে কোভিড উপসর্গগুলি অতটাও সক্রিয় নয়।

Advertisement
Advertisement

সত্যি তাই কি?

Advertisement

তাহলে দেখা যাক পার করে আসে আগের দু’টি করোনার ঢেউয়ের সঙ্গে তৃতীয়বারের ঢেউয়ের করোনা উপসর্গগুলি কোথায় কোথায় আলাদা।

Advertisement
Advertisement

করোনার প্রথম ঢেউ

কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তির মুখে কোনো স্বাদ এবং গন্ধ থাকত না। অন্তত প্রথম সাত দিন তো একেবারে আসতোনা। রোগীর শুধু শুকনো কাশি থাকত। তবে রোগীর ঠান্ডা লাগা দীর্ঘস্থায়ী হত না। আক্রান্ত ব্যক্তির বুকে সিটি স্ক্যানের পর একধরণের কোভিড জেলির উপস্থিতি পাওয়া যেত। আর রোগীর শরীরের তাপমাত্রা বেশ উঁচুর দিকেই থাকত। আর আক্রান্ত ব্যক্তির শারীরিক দুর্বলতা থাকত মারাত্মক। যাঁদের কো-মর্বিডিটি ছিল তাঁদের সবচেয়ে বেশি শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিত। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাটা ছিল ১০ শতাংশ।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ

কোনো কোনো কোভিড রোগীর স্বাদ এবং গন্ধ কখনও সম্পূর্ণ ভাবে চলে যেত আবার কখনও কোমো রোগীর আংশিক স্বাদ থাকতোনা। দ্বিতীয় ঢেউতে আক্রান্ত ব্যক্তির শুকনো কাশির প্রবণতা থাকত। প্রথম ঢেউয়ের মতো দ্বিতীয়বারেও ঠান্ডা লাগা বেশিদিন থাকত না। এক্ষেত্রে রোগীর বুকে কোভিড জেলির উপস্থিতি পাওয়া যেত। বেশ অনেকদিন জ্বর থাকত। শারীরিক দুর্বলতা থাকত মারাত্বক। দ্বিতীয় ঢেউয়ে শুধু কো-মর্বিডিটি বলে নয়, আক্রান্ত প্রায় অধিকাংশ রোগীরই শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিত। আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাটা প্রায় ১০ থেকে ১২ শতাংশ।

করোনার তৃতীয় ঢেউ

তৃতীয়বারে এসে কোভিড আক্রান্তদের স্বাদ বা গন্ধ চলে যাচ্ছে না। এই বারে কাশির সঙ্গে উঠে আসছে কফ। সঙ্গে থাকছে রোগীর হাল্কা ঠান্ডা লাগাও। তবে এক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির বুকে কোনও কোভিড জেলির উপস্থিতি পাওয়া যাচ্ছে না। শরীরের তাপমাত্রা খুব বেশি উঠছে না। সামান্য শারীরিক দুর্বলতা থাকছে। আক্রান্তদের মধ্যে শ্বাসকষ্টের সমস্যা নেই বললেই চলে। হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাটা খুবই সামান্য। ১ শতাংশের কাছাকাছি।

আর কোভিডের তৃতীয় ঢেউতে আগের মত আর ১৪ দিন করোনা সংক্রমণের জন্য আইসোলেশনে থাকতে হচ্ছে না করোনা আক্রান্ত রোগীদের। তাঁদের ৭ দিন আইসোলেশনে থাকলেই হবে। তারপরে রোগীদ করোনা রিপোর্ট যদি নেগেটিভ আসে তাহলে তিনি মুক্ত। এবং খেয়াল রাখতে হবে এই শেষ তিনদিন যেন তাঁর কোনোভাবে জ্বর না আসে। ৭ দিন পর রোগীর করোনার রিপোর্ট নেগেটিভ এলেই নিভৃতবাস থেকে মুক্ত হবেন তাঁরা। এবং রোগীকে বাইরে বেরোনোর জন্য দ্বিতীয়বার করোনা পরীক্ষা করতে হবে না।

Advertisement

Related Articles

Back to top button