নিউজরাজ্য

চলবে না আর স্টাফ ট্রেন, সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ কর্মীরা

×
Advertisement

বুধবার চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন। প্রথমে শিয়ালদহ শাখায় প্রাথমিকভাবে ২৫% ট্রেন চলবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেখানে সেই ট্রেনের সংখ্যা বাড়িয়ে ৪৬% করে দেওয়া হয়েছে। তবে এই পরিষেবা চালু করার জন্য স্টাফ স্পেশাল ট্রেন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এইদিন এই বিষয়ে শিয়ালদহের ডিআরএম বলেন,” এতদিন ট্রেন চলছিল না, তাই দরকার ছিল স্টাফ ট্রেনের। কিন্তু এইবার সাধারণ ট্রেন চালু হচ্ছে। ফলে আমাদের মনে হয় আলাদা করে স্টাফ ট্রেন চালানো সমস্যা টেনে আনতে পারে। সাধারণ মানুষও ওই ট্রেনে চড়ে বসবেন। অভিযোগ আসবে বারবার স্টাফ দের থেকে। এতে নতুন করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। সেই জন্যই এমন সিদ্ধান্ত।” তবে এই সিদ্ধান্তে বেশ অনেকটাই ক্ষুব্ধ কর্মী সংগঠন।

Advertisements
Advertisement

 

Advertisements

এই বিষয়ে অন্যদিকে পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়ানের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ বলেন,”আমরা কিছুদিন আগেই প্রস্তাব দিয়েছিলাম ৪ বগির স্টাফ ট্রেন চালানোর। অথবা আমরা বলেছিলাম, সাধারণ ট্রেনেই তাদের জন্য কিছু আলাদা কামরার ব্যবস্থা করতে। কিন্তু কিছু না করেই তুলে দেওয়া হচ্ছে স্টাফ ট্রেন। যার ফলে করোনা ছড়াবে কর্মীদের মধ্যে। কাজের ক্ষতি হবে। কোয়ারেন্টাইনে যেতে হবে কর্মীদের।” সূত্র হতে জানা গিয়েছে যে, ইতিমধ্যে রেলে ফ্রন্টলাইন কর্মীদের মধ্যে ১৫% কর্মী করোনা আক্রান্ত। এমন অবস্থায় ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো অনেকটাই চ্যালেঞ্জের বলে মনে করেন রেল কর্মীরা। ভবিষ্যতে এটি একটি অসুবিধার কারণ ও হতে পারে বলে একাংশের মত। এইদিন শিয়ালদহ এর ডিআরএম এসপি সিং বলেন,”রোজই রেলের ১০-১৫ জন করোনা আক্রান্ত হচ্ছে। যার ফলে তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর একটা চিন্তা ও রয়ে যাচ্ছে।”

Advertisements
Advertisement

 

বুধবার থেকেই হাওড়া, শিয়ালদহ এবং খড়গপুরের বুকিং কাউন্টার খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এইদিন হাওড়ার সিনিয়ার কমার্শিয়াল ম্যানেজার জানান যে সোম ও মঙ্গলবার পুরনো সব মান্থলি গুলি রিনিউ করা হবে। অর্থাৎ সেগুলিকে সম্প্রসারিত করবে রেল। সাথে দেওয়া হবে নতুন মান্থলি ও। এছাড়া মিলবে সব রকম সিজন তথা মান্থলি, ত্রৈমাসিক ইত্যাদি এর সুবিধাও। এছাড়া ও তিনি জানান যে সমস্ত কাজ করোনা বিধি মেনে করা হবে। রোডসাইড স্টেশনগুলিতে হকার যাতে বসতে না পারে সে বিষয়ে খেয়াল রাখবেন আরপিএফ। তবে জিআরপি এর কাজ সম্পর্কে আরও একবার খতিয়ে দেখবে বিভাগ। এছাড়াও প্রতি কাউন্টারে এবং স্টেশনে নতুন সময়সূচী দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

 

রবিবার না মেনে আজ থেকে শুরু করা হয় রেল চালুর আগের প্রস্তুতির সমস্ত কাজ। ইতিমধ্যেই স্টেশন, রেক, শৌচালয়, পানীয় জল খাওয়ার এলাকা ইত্যাদি স্যানিটাইজ করার কাজ শুরু করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে যাতায়াতের বিকল্প পথগুলিও। তবে কোভিড বিধি পালন নিয়ে বর্তমানে চিন্তায় রেল। ট্রেনের সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়ার সাথে সাথে বহু সমস্যা বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন রেলের কর্মকর্তারা।

Related Articles

Back to top button