নিউজপলিটিক্সরাজ্য

অপসারণের বিরুদ্ধে সৌমেন্দুর অভিযোগ, হাইকোর্টে করলেন মামলা, ৪ তারিখ হবে শুনানি

হাইকোর্টে সৌমেন্দুর (Soumendu Adhikari) করা মামলার শুনানি হবে ৪ তারিখ, জানিয়ে দিল হাইকোর্ট

×
Advertisement

গত ২৮ ডিসেম্বরের রাজ্যের পুর এবং নগরোন্নয়ন দফতর একটি নির্দেশিকা জারি করে। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের(Firhad Hakim) সই করা সেই নির্দেশিকায় কাথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ভাই সৌমেন্দু অধিকারীকে (Soumendu Adhikari)। এইবার তাকে চ্যালেঞ্জ করেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন অধিকারী বাড়ির ছোট ছেলে।

Advertisements
Advertisement

সৌমেন্দু আদালতে আবেদন জানিয়ে বলেছেন, যে ভাবে তাকে অপসারণ করা হল তা আইন সম্মত নয়। এইদিন কলকাতা হাইকোর্ট গ্রহণ করেছে সেই মামলা। আগামী ৪ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।

Advertisements

বিখ্যাত আইনজীবী তথা সিপিএমের রাজ্যসভা সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্যের কথায়, সরকারের ক্ষমতা রয়েছে এমন করার। অর্থাৎ পুর প্রশাসককে অপসারিত করার। কিন্তু তার একটা নিয়ম রয়েছে। যে ভাবে বাঁ যে উদ্দেশ্যে কাথির প্রশাসককে সরানো হয়েছে তাকে খুব একটা সৎ বলে মনে হচ্ছেনা।

Advertisements
Advertisement

আইনজীবীদের মধ্যে অনেকের বক্তব্য, সৌমেন্দুকে সরিয়ে যাকে প্রশাসক করা হয়েছে তিনি কাথি পুর এলাকার বাসিন্দাই নন। পঞ্চায়েত এলাকার ভোটার তিনি। যার ফলে তিনি কোনও ভাবেই প্রশাসক হতে পারবেন না।

শুভেন্দু পদ্ম শিবিরে গেলেও তার বাড়ির বাকি দুই শাসক শিবিরের সাংসদ অর্থাৎ বাবা শিশির অধিকারী এবং ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী এখনও দল ছাড়ার কথা বলেননি। সৌমেন্দুও তেমন তৃণমূলের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করেননি এই সময়। ফলে অনেকের মতে, শাসক শিবির তথা রাজ্য সরকার শুভেন্দুর বাগ বাকিদের উপর মেটাচ্ছে।

কাথি পুরসভার সাথে অধিকারী পরিবারের সম্পর্ক ৫০ বছর আগের বলা চলে। প্রবল প্রতাপে যখন বাংলায় বাম শাসন চলছে তখনও কাথি ছিল অধিকারী পরিবারের গড়। একবার পুরভোটে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুকে পরচারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সিপিএমের পক্ষ থেকে। তাও কাথিতে দাঁত বসাতে পারেনি।

ভাইকে অপসারণ নিয়ে তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু (Dibyendu Adhikari) বলেন,” এটা খুবই বড় অন্যায়। আমি এখনও এই দলেই রয়েছি। নেত্রীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু রাজ্য সরকার যে কায়দায় অপসারণ করেছে তাকে, তার আমি নিন্দা করছি।” এর পরে আদালত ৪ তারিখ ডেট দিয়েছে শুনানির।

Related Articles

Back to top button