দেশনিউজ

কিছুটা স্বস্তি মধ্যবিত্তের!‌ কমতে চলেছে ভোজ্য তেলের দাম

Advertisement
Advertisement

পেট্রোল, ডিজেল থেকে রান্নার গ্যাস পাশাপাশি রোজের বাজার সামগ্রী সবেতেই আগুন দাম। বাজারে গিয়ে কিছু কিনতে গেলেই ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে বাঙালীকে। তাই এখন আগুন লেগেছে মধ্যবিত্তর হেঁসেলেও। এখন জ্বালানির দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ভোজ্য তেলের দাম ও। এখন বাজারে আগের বছরের তুলনায় ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ। গত মাসে পাম, সোয়াবিন বা সূর্যমুখী তেলের দাম কমলেও, সর্ষের তেলের দাম বিশেষ কমেনি। অথচ আমাদের দেশে মানুষের ঘরে ঘরে ভোজ্য তেল হিসেবে এর চাহিদাই বেশি। স্বাভাবিকভাবেই এই দাম বৃদ্ধিতে আঙুল উঠেছিল কেন্দ্রের দিকে।

Advertisement
Advertisement

অবশেষে৷ দীপাবলীর আগে ভোজ্য তেল প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিই সর্ষের তেল সহ ভোজ্য তেলের কিছুটা দাম কমানোর কথা ঘোষণা করল। তবে পাইকারি বাজারে লিটার প্রতি মাত্র ৪ থেকে ৭ টাকা দাম কমানো হবে বলে জানিয়েছে এই সংস্থাগুলি। বুধবার এই সংক্রান্ত ঘোষণা করেছে তেল সংস্থার সংগঠন সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টর অ্যাসোসিয়েশন। গত ৩১ অক্টোবর পাম তেলের কেজি প্রতি মূল্য ১৬৯.৬ টাকা থেকে কমিয়ে ১৩২.৯৮ টাকা করা হয়। সোয়া তেলেরও দাম কমানো হয়েছিল। তবে সরষের তেল, বাদাম তেল ও সূর্যমূখী তেলের দাম অপরিবর্তিত ছিল।

Advertisement

Advertisement
Advertisement

এর আগে অক্টোবর কেন্দ্রীয় সরকার আমদানি শুল্ক ও কৃষি কর কমানোর কথা ঘোষণা করেছিল । ভোজ্য তেলের দাম কিভাবে কম করা যায় আর, তার উপায় জানার জন্য আলোচনা করার জন্য গতমাসের শেষের দিকে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে একটি বৈঠক করা হয়। রাজ্যগুলিকে ভোজ্য তেল এবং তৈলবীজ গুদামজাত করার ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিতে বলে ভোজ্য তেলের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে কেন্দ্র। তেলের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে সরকার দাবি করেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের দাম বাড়াতেই ভারতের বাজারেও তেলের দামের প্রভাব পড়ছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার চেষ্টা করছে, যাতে তেলের দাম নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

এদিকে কেন্দ্রের নির্দেশ মতো উত্তরপ্রদেশ ভোজ্য তেল এবং তৈলবীজ গুদামজাত করার ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে। গুজরাত, রাজস্থান ও হরিয়ানাও এই পথে হাঁটতে চলেছে। তাছাড়া আরও নয়টি রাজ্য এই পদক্ষেপ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

 

Advertisement

Related Articles

Back to top button