ব্যবসা-বানিজ্য ও অর্থনীতি

আবারো দামি হচ্ছে বাড়ি গাড়ি, রিজার্ভ ব্যাংকের বড় সিদ্ধান্তে চাপে সাধারণ মানুষ

আবারো রিজার্ভ ব্যাংকের তরফ থেকে রেপো রেট বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা হয়েছে

Advertisement
Advertisement

ভারতে আরো একবার বৃদ্ধি পেল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের রেপো রেট। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার রেপো রেট বৃদ্ধি হয়ে এবার হচ্ছে ৫.৪০ শতাংশ। করোনা পরবর্তীকালে গত তিন মাসে এই নিয়ে তিনবার বৃদ্ধি করা হলো রেপো রেট। শুক্রবার আর বি আই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস এই রেপো রেট বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন। এতদিন পর্যন্ত এই রেপো রেট ছিল ৪.৯০ শতাংশ। এবারে তা এক ধাক্কায় ৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে হল ৫.৪০ শতাংশ। অন্যদিকে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে বিশ্বের যে পরিস্থিতি, তার জন্য কিছুটা সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে ভারতও। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে অর্থ ব্যবস্থা কে। এই কারণেই বারংবার রেপোরেট বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করছেন রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।

Advertisement
Advertisement

এবারে রিজার্ভ ব্যাংকের মনিটরী পলিসি বৈঠকের পরে রেপোরেট বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই রেপোরেট বৃদ্ধির ফলে পাবলিক এবং প্রাইভেট ব্যাংকের লোনের সুদের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এর ফলে বাড়ি গাড়ি এবং সমস্ত রকম ঋণের সুদের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এক ধাক্কায় অনেকটা। এছাড়াও ইএমআইয়ের খরচ বৃদ্ধি পায়। এর ফলে মধ্যবিত্তের উপর বাড়তি খরচ আসতে শুরু করে। আরবিআই সুদের হার বৃদ্ধি করলে প্রাইভেট এবং পাবলিক সেক্টর ব্যাংকগুলিকে মার্জিনাল লেন্ডিং রেট বৃদ্ধি করতে হয়। যে সুদের হারে আরবিআই অন্য ব্যাংকে টাকা দেয় সেটিকে বলা হয় রেপোরেট। এর ফলে এই রেট বৃদ্ধি পেলে মধ্যবিত্তের উপরে চাপ পড়তে শুরু করে।

Advertisement

অন্যদিকে জমা টাকায় সুদ বাড়তে পারে বলে সাধারণ মানুষ যে আশা করছেন, সেই আশায় রীতিমতো জল ঢেলে দিয়েছেন লেজার ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। এদিনের বৈঠকের শেষে তেমন কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। খুব বেশি হলে সুদের হারের ক্ষেত্রে একটি স্থিতাবস্থা বজায় থাকতে পারে। অন্যদিকে আরবিআই এর এই আকস্মিক সিদ্ধান্তের কারণে ধস নেমেছে শেয়ার বাজারে। লগ্নিকারীদের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৬ লক্ষ কোটি টাকা। ব্যাংক রেপো রেট বৃদ্ধি করার সঙ্গে সঙ্গে জিডিপি নিয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.৪ শতাংশ রয়েছে।

Advertisement
Advertisement

অন্যদিকে মার্কিন ডলারের নিরিখে টাকার দাম পড়ে যাওয়ার কারণে ভারতীয় অর্থনীতিতে চাপ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। রিজার্ভ ব্যাংক জানাচ্ছে, যদি তাদের তরফ থেকে রেপো রেট বৃদ্ধি করা হয় তাহলে মুদ্রাস্ফীতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসবে। ২০২২-২৩ আর্থিক বর্ষের জন্য মুদ্রাস্ফীতির হার ৬.৭% হবে বলে জানিয়েছেন শক্তিকান্ত দাস। আগামী বছরে তা পাঁচ শতাংশ নেমে আসতে পারে বলেই মনে করছেন তারা।

Advertisement

Related Articles

Back to top button