চেন্নাই: বলিউড অভিনেতা-অভিনেত্রীদের যেমন পরবর্তী সময়ের রাজনৈতিক দুনিয়ায় পা রাখতে দেখা গিয়েছে, তেমন দক্ষিণের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পরবর্তী সময়ে রাজনীতির ময়দানে পা রাখতে দেখা যায়। কমল হাসান থেকে শুরু করে থালাইভা অর্থাৎ রজনীকান্ত সহ আরও অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী পরবর্তী সময়ে রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছেন। আর এবার নতুনভাবে স্বমহিমায় রাজনীতির দুনিয়ায় পা রাখতে চলেছেন রজনীকান্ত। আগামী বছর তামিলনাড়ুতে বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগে জানুয়ারিতেই নিজের নতুন রাজনৈতিক দল নিয়ে রাজনৈতিক দুনিয়ায় পা রাখবেন থালাইভা।
জানা গিয়েছে, আগামী বছর মে মাসে তামিলনাড়ুতে ভোট। তার আগে জানুয়ারিতেই রজনীকান্ত নিজের রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটাবেন। যদিও এই আত্মপ্রকাশ আগেই ঘটে যেত। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে তা পিছিয়ে যায়। অবশেষে চলতি মাসের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর সরকারিভাবে নিজের রাজনৈতিক দলের নাম ঘোষণা করবেন রজনীকান্ত।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘জানুয়ারিতেই আসতে চলেছে নতুন দল। এই মাসের শেষ দিনে সরকারি ঘোষণা করা হবে। আমাদের লক্ষ্য হবে যত সম্ভব মানুষের জন্য কাজ করা। যদি এখনই কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করি তাহলে কোনওদিনই পরিবর্তন আসবে না। আমি যদি জিততে পারি তবে সেটা মানুষের জয় হবে। নির্বাচন জেতার ব্যাপারে আমি আশাবাদী। আমাদের সরকার হবে আধ্যাত্মিকতার উপর নির্ভরশীল। ধর্মনিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা এবং মানুষের হিতে কাজ করাই হবে লক্ষ্য। কোনল দুর্নীতির জায়গা এখানে নেই।’ এভাবেই নিজের দলের স্বপক্ষে সকলের সামনে ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরেছেন রজনীকান্ত।
দক্ষিণের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যেমন রজনীকান্তের একচেটিয়া আধিপত্য রয়েছে, ঠিক তেমনই রাজনৈতিক দুনিয়াতেও তাঁর প্রভাব রয়েছে যথেষ্ট। সদ্ভাব রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, আরএসএস প্রধান সহ আরও অনেকের সঙ্গে। আর নিজের রাজনৈতিক দল খোলার পেছনে দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের হাত রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। যেভাবে সিনে দুনিয়ায় নিজের কেরিয়ারের উজ্জ্বল দিকগুলি তুলে ধরেছেন। ঠিক সেভাবে রাজনীতিতেও জয়লাভ করতে পারেন কিনা, এখন সেটাই দেখার।
