নিউজপলিটিক্সরাজ্য

‘মুকুল রায়কে হেভিওয়েট নেতা মনে করি না’, নজিরবিহীন মন্তব্য কৌশানীর

একটি সভায় যোগ দিয়ে কৌশানী মুখোপাধ্যায় বললেন, মুকুল রায় কখনো নির্বাচনে জেতেননি, তাই তিনি হেভিওয়েট প্রার্থী নন

Advertisement
Advertisement

বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল এবং বিজেপি দুই দলের কাছেই রয়েছে একাধিক তারকা প্রার্থী। কোথাও আছেন হিরণ, তো কোথাও আছেন সায়ন্তিকা। সায়নী, পায়েল, কৌশানিরাও প্রচারে ব্যস্ত। বিনোদন জগত থেকে সরাসরি রাজনৈতিক ময়দানে হাতে করে দিয়েছেন অনেকে। শুরুতেই দলের কর্মীদের চাঙ্গা করতে প্রতিপক্ষ মুকুল রায়ের মতো একজন দুদে রাজনীতিবিদকে কটাক্ষ করে বসলেন কৃষ্ণনগর উত্তর আসনের তৃণমূল প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়।

Advertisement
Advertisement

এদিন কৌশানি রানাঘাটের তৃণমূল নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠকে বসে ছিলেন সেই কেন্দ্রের সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য। সেখানে তিনি মুকুল রায় কে কটাক্ষ করে বলেন, “মুকুল কখনো ভোটে জয়লাভ করেন নি। তাই আমরা ওকে হেভিওয়েট প্রার্থী বলে মনে করি না।” এই মন্তব্য করে তিনি এখন সবার লাইমলাইটে চলে এসেছেন। মুকুল রায়ের মতো একজন আপামর রাজনীতিবিদকে হেভিওয়েট হিসেবে গণ্য না করে চরম বিতরকের মুখে কৌশানি।

Advertisement

প্রার্থী তালিকায় নাম ওঠার পরেই প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন কৌশানী মুখোপাধ্যায়। একের পর এক জায়গায় গিয়ে তিনি জনসংযোগ করছেন। কোন দিকে আবার কৃষ্ণনগর উত্তর এবং দক্ষিণ আসনে গতবারের লোকসভা নির্বাচনে এগিয়ে ছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। এই কারণে কৌশানী মুখোপাধ্যায় প্রচারের কাজে কোন খামতি রাখতে চাইছেন না। অন্যদিকে, তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চলছে চর্চা। কৌশানী মুখোপাধ্যায় যোগ দিয়েছেন তৃনমূলে। কিন্তু উল্টো দিকে, তার প্রেমিক বনি সেনগুপ্ত আবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ফলে রাজনৈতিক জীবন এবং ব্যক্তিগত জীবন দুই নিয়েই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে কৌশানী মুখোপাধ্যায়।

Advertisement
Advertisement

যদিও তিনি মনে করছেন এবারের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করবে। সেদিনকার সভায় গিয়ে কর্মীদের ভোকাল টনিক দিয়ে এলেন তিনি। মমতার নেতৃত্বে তৃণমূল বাংলা থেকে বহিরাগতদের বিতাড়িত করবে বলে ঘোষণা করলেন কৌশানি। কিন্তু কৌশানির এহেন মন্তব্যকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি ভারতীয় জনতা পার্টি। বিজেপি জানিয়েছে, “মুকুল রায় সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবান্তর কথা বলছেন কৌশানী মুখোপাধ্যায়। আগে মুকুল রায়ের সম্পূর্ণ প্রোফাইল ঘেঁটে দেখে নেওয়া উচিত গুগল করে। তিনি ছিলেন দেশের প্রাক্তন রেলমন্ত্রী এবং সর্ব বৃহৎ রাজনৈতিক দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। তাই মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে এরকম ধরনের আক্রমণ করা সাজে না।”

Advertisement

Related Articles

Back to top button