নিউজরাজ্য

ট্যাবের ১০ হাজার টাকা পেতে ৩ দিনের মধ্যে দিতে হবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, মাথায় হাত পড়ুয়া ও স্কুলগুলির

Advertisement
Advertisement

করোনা প্যানডেমিক পরিস্থিতি গোটা রাজ্যে মার্চ মাস থেকে বন্ধ রয়েছে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু সামনের বছরের জুন মাসে হবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। কিন্তু অনলাইন মাধ্যমে পাঠক্রম চালায় অনেকেই পড়াশোনা করে উঠতে পারিনি। অনেকের কাছে অনলাইন ক্লাস করার মত স্মার্টফোন না থাকায় বিপাকে পড়েছে তারা। অবশ্য তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমে ঘোষণা করেছিলেন যে প্রত্যেক দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীকে একটি করে ট্যাব দেওয়া হবে। কিন্তু পরে তিনি জানান সময় খুব একটা বেশি না থাকায় প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এ ১০০০০ টাকা করে দিয়ে দেওয়া হবে।

Advertisement
Advertisement

তবে এই ঘোষণার পর আবারও সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। রাজ্য সরকার ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে “বাংলা শিক্ষা” পোর্টালে দ্বাদশ শ্রেণীর প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তথ্য নথিভূক্ত করতে বলেছে। আর তাতেই মাথায় হাত পড়েছে পড়ুয়া ও স্কুলগুলির। তাদের দাবি, এখন কোনমতেই ৩ দিনের মধ্যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস জোগাড় করে বাংলা শিক্ষা পোর্টালে আপলোড করা সম্ভব নয়। এমনকি বহু ছাত্র-ছাত্রীর এখন অব্দি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই।

Advertisement

রাজ্যের সরকার ঘোষিত স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সংগঠন স্টেটস ফোরাম অফ হেড মাস্টার এন্ড হেডমিস্ট্রেস এর তরফে সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার মাইতি জানিয়েছেন, “জেলা স্কুল পরিদর্শক আমাদের ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নাম্বার ও IFSC নাম্বার বাংলা শিক্ষা পোর্টালে আপডেট করতে বলেছে। কিন্তু এত কম সময়ে এই কাজ করা প্রায় অসম্ভব। এমনিতেই অনেক ছাত্র-ছাত্রীর এখন অব্দি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়নি। অনেকের আবার IFSC কোড বদল হয়েছে। সেই সাথে পোর্টালের গতি অত্যন্ত কম। তাই এত কম সময়ের মধ্যে এত তথ্য আপলোড করা সম্ভব নয়।”

Advertisement
Advertisement

প্রসঙ্গত কিছুদিন আগে নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে বিনামূল্যে দেওয়ার ঘোষণা করেছিলাম। কিন্তু এই মুহূর্তে আমরা দরপত্র ডাকলে খুব বেশি হলেও এক থেকে দেড় লক্ষ ট্যাবের ব্যবস্থা করতে পারব। অন্যদিকে চিনা ট্যাব কেনার কোন ইচ্ছা নেই বা ভারত সরকার বারণ করে দিয়েছে। তাই অফিসারদের সাথে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এত কম সময়ের মধ্যে আমরা দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে দিয়ে দেবো।”

Advertisement

Related Articles

Back to top button