দেশনিউজ

আগামিকাল থেকেই দেশ জুড়ে ভ্যাকসিনের ড্রাইরান শুরু

Advertisement
Advertisement

নতুন বছরের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ শনিবার (Saturday) থেকেই গোটা দেশে শুরু হতে চলেছে করোনা ভ্যাকসিনের ড্রাই রান। শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি সেড়ে নিতে ইতিমধ্যে বৈঠক সেরে ফেলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আধিকারিকরা। কীভাবে দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষের দেহে প্রয়োগ করা হবে করোনার টিকা, তার প্রস্তুতি হাতে কলমে খতিয়ে দেখতেই শনিবার হবে করোনা ভ্যাকসিনের ড্রাই রান। দেশ জুড়ে প্রতিটি রাজ্যে শুরু হতে চলেছে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার ড্রাই রান। যার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তিনটি জায়গাও। তবে তিনটি স্থানই উত্তর ২৪ পরগনার বলে জানা যাচ্ছে। মধ্যমগ্রাম,দত্তাবাদ ও আমডাঙায় শুরু হচ্ছে করোনা ভ্যাকসিনের বহু প্রত্যাশিত ড্রাই রান। সেজন্য ইতিমধ্যে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কী করে সংরক্ষিত করোনার টিকা প্রোটোকল মেনে সাধারণ মানুষের দেহে প্রয়োগ করা হবে তা হাতে কলমে করে দেখাবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।

Advertisement
Advertisement

জানুয়ারিতেই মিলবে করোনা ভ্যাকসিন, এমনই আশার কথাই শুনিয়েছেন  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সম্প্রতি দেশের চার প্রান্তের চার রাজ্যে পঞ্জাব, অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম ও গুজরাতে দু’দিনের টিকাকরণের মহড়া শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার কেন্দ্র জানিয়েছে, ৪ রাজ্যে করোনার টিকাকরণের পরিকাঠামো স্বস্তিদায়ক। এরপরই দেশ জুড়ে ড্রাই রানের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। করোনাটিকার এই ড্রাই রান হবে মধ্যমগ্রাম ও দত্তাবাদের উচ্চ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং আমডাঙার গ্রামীণ হাসপাতালে। প্রাথমিক ভাবে ২৫ জনের ওপর এই টিকা প্রয়োগ করা হবে। সকাল ৯টা থেকেই শুরু হয়ে যাবে ড্রাই রানের কাজ। এই প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সমস্ত নির্দেশ মেনে টিকাদানের মহড়া হবে স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর।

Advertisement

দেশে বিপুল সংখ্যক মানুষকে করোনার টিকা দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলি। গোটা দেশে একযোগে টিকাকরণ অভিযান চালাতে ইতিমধ্যে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ পর্বও প্রায় শেষ। প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জেলায় জেলায় ও প্রত্যন্ত গ্রামেও ড্রাই রান চালানো হবে। এই ড্রাই রানে মূলত দেখা হবে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরিকাঠামো কতটা তৈরি। গোটা দেশে একযোগে টিকাকরণ অভিযান চালাতে ইতিমধ্যে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ পর্বও প্রায় শেষ। টিকা মজুতের স্টোরেজ পরীক্ষা, সেখান থেকে টিকাকরণ কেন্দ্রে টিকা নিয়ে যাওয়া, টিকাকরণ কেন্দ্রে চিকিৎসাকর্মী ও টিকাগ্রহীতাদের নিয়ে যাওয়া, করোনা সুরক্ষাবিধি পালন, অ্যাপে টিকাকরণের তথ্য আপলোড– ইত্যাদি নানা কিছুর ট্রায়াল রানই এই কর্মসূচির লক্ষ্য। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ৭.৫ ভ্যাকসিনের ডোজ মজুত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সরকারের হাতে আরও ১০ কোটি ভ্যাকসিন আসবে বলে দাবি করা হচ্ছে৷

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button