আজকালকার দিনে অনেকেই প্রথাগত চাকরির দিকে না গিয়ে নিজের নিজের ব্যবসা খুলে অর্ধ উপার্জন করার চেষ্টা করছেন। আপনিও যদি ব্যবসা খুলতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমেই জেনে নিতে হবে যে মানুষের কি প্রয়োজন। চাহিদার কথা মাথায় রেখে যদি আপনি ব্যবসা চালু করেন তাহলে তাতে অনেক বেশি লাভ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আজকালকার দিনে পেট্রোল-ডিজেলের অত্যাধিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে গোটা ভারতীয় মার্কেট ইলেকট্রিক ভেহিকেলের দিকে আগ্রহ দেখাচ্ছে। গ্রাম থেকে শুরু করে শহর সমস্ত জায়গাতেই মানুষ ইলেকট্রিক গাড়ি কেনার চেষ্টা করছেন। আর এই গোটা ইলেকট্রিক ভেইকেল ইন্ডাস্ট্রির চালিকাশক্তি হল গাড়ি বা বাইকের চার্জিং স্টেশন। এই মুহূর্তে আপনি যদি একটি ইলেকট্রিক ভেইকেল চার্জিং স্টেশন চালু করতে পারেন তাহলে আপনার ব্যবসা রমরমা হয়ে চলবে।
ইলেকট্রিক যানবাহন চার্জিং স্টেশন চালু করতে গেলে আপনার রাস্তার পাশে একটি ৫০ থেকে ১০০ বর্গগজের জমি থাকা প্রয়োজন। এই জমি আপনার নিজের নামে হতে হবে বা ১০ বছরের লিজে থাকতে হবে। চার্জিং স্টেশনে গাড়ি এন্ট্রি বা পার্কিংয়ের জন্য আপনাকে রাস্তার মতো বানাতে হবে। এছাড়া এটি চালু করতে গেলে আপনাকে বনদপ্তর, দমকল বিভাগ এবং মিউনিসিপাল কর্পোরেশন এর কাছ থেকে NOC সার্টিফিকেট নিতে হবে। একটি ইভি চার্জিং স্টেশন স্থাপন করতে আপনার ৪০ লাখ টাকা খরচা হবে। অবশ্য কম ক্ষমতার ইভি চার্জিং স্টেশন ১৫ লাখ টাকাতেও ইন্সটল হয়ে যায়।
এবার আসা যাক আয়ের কথায়। আপনার ৩০০০ কিলোওয়াট এর চার্জিং স্টেশন থাকলে আপনি প্রতি কিলোওয়াট খরচের জন্য পাবেন ২.৫ টাকা। এই হিসাবে আপনি প্রতি দিনে ৭৫০০ টাকা করে আয় করতে পারবেন। মাসে আপনার মোট আয় হবে ২.৫ লাখ টাকা। চার্জিং স্টেশনের সমস্ত খরচ ছেড়ে দিলে আপনার মাসে মাসে লাভ হবে ১.৫ লাখ টাকা থেকে ১.৭৫ লাখ টাকা। আপনি যদি কিলোওয়াট বাড়াতে পারেন তাহলে আপনার মাসে ১০ লাখ টাকা অব্দি আয় হতে পারে।