দিল্লির সীমাপুরিতে ২০ ডিসেম্বর হওয়া সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ আন্দোলনে প্রায় ১৫০ জন বাংলাদেশী জড়িত ছিলেন, চাঞ্চল্যকর এই তথ্য খুঁজে পেলো দিল্লি পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল। অনুসন্ধানের সাথে যুক্ত তদন্তকারী দল এক বিবৃতিতে বলেছে, এই ব্যক্তিরা শহরের জেজে কলোনীতে অবৈধভাবে বাস করে। এর মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিকে আগে চুরির মামলায় গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়েছে এবং শীঘ্রই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। পুলিশ এখন বিক্ষোভের জন্য আসা অর্থের উৎস খোঁজার চেষ্টা করছে। পুলিশের অনুমান বিক্ষোভের জন্য অর্থের যোগান কোনো বিদেশি উৎস থেকেই এসেছিল। তদন্তকারী অফিসাররা তিহার জেল পরিদর্শন করবেন বলেও জানা গেছে যেখানে এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া দাঙ্গাকারীরা আছে।
আরও পড়ুন : শ্রীনগর থেকে গ্রেপ্তার লস্কর-ই-তৈবারের এক জঙ্গি
গত ২০ই ডিসেম্বর দিল্লি-গাজিয়াবাদ সীমান্তে সীমাপুরীতে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিক্ষোভ সহিংস হয়ে ওঠে। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হয়, পুলিশের উপর আক্রমণ করে বিক্ষোভকারীরা। এই আন্দোলনের জন্য কীভাবে বিপুল জনতা একত্রিত হয়েছিল তাও অনুসন্ধানের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।কিছু হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ স্ক্যানও করা হচ্ছে যা সীমাপুরীতে হিংস্র প্রতিবাদের জন্য জনতাকে একত্রিত করতে ব্যবহৃত হয়েছিল। সহিংসতার মামলায় দিল্লি এলাকায় বিক্ষোভ চলাকালীন ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।দিল্লির একটি আদালত ৩১ ডিসেম্বরে এই মামলায় দাঙ্গাকারীদের জামিন আবেদনের শুনানি মুলতবি করেছে।