রাজীব ঘোষ : একুশের নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের পাশাপাশি রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক প্রস্তুতি চলছে।আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে বিজেপি।দুর্গাপুরে রাজ্য বিজেপির দুই দিনের চিন্তন বৈঠক চলবে রবিবার পর্যন্ত।দুর্গাপুরে এই বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ,প্রত্যেক জেলা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, মোর্চার সভাপতি সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।দলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রায় সকলেই উপস্থিত রয়েছেন।বিজেপি সূত্রে খবর, লোকসভা নির্বাচনে ১৮ টি আসনে বিজেপির সাফল্যের জন্য এবং রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে দলের কর্মসূচি নিয়ে ছুটে বেড়ানোর জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে দিলীপ ঘোষ প্রশংসা পেয়েছেন।
বিজেপির দলীয় নিয়মানুযায়ী দিলীপ ঘোষ ইতিমধ্যে রাজ্যের সভাপতি হিসেবে প্রথম অধ্যায় শেষ করেছেন।বিজেপির দলীয় নিয়মে একজন সভাপতি তিনবছর থাকতে পারবেন।পরে আরো তিন বছর তিনি ওই পদে থাকতে পারেন।পরপর দুইবার বা একটানা ৬ বছর সভাপতি থাকার পর যেটা আগে হবে সেটাই সভাপতিত্বের শেষ দিন হিসেবে ধরা হবে।দিলীপ ঘোষের ক্ষেত্রে ২০২১ পর্যন্ত সভাপতির পদ থাকবে।তবে দিলীপ ঘোষ রাজ্য সভাপতির সঙ্গে সাংসদ হয়েছেন।তাই সাংসদ হিসেবে তাকে অনেক সময় সংসদে ব্যস্ত থাকতে হবে।
ফলে তার সভাপতির দায়িত্বে সাহায্য করার জন্য রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ থেকে কেউ আসবেন বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর তার কাজের চাপ কমানোর জন্য জগৎপ্রকাশ নাড্ডাকে কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।আগামী ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দিলীপের নেতৃত্বেই চলবে বিজেপি।দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখ হিসেবে হিন্দুত্বের পোস্টারবয় দিলীপ ঘোষকেই চাইছে।পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মুকুল রায় চানক্যনীতি চালিয়ে যাক,এটাও চায় দিল্লী।তবে অরবিন্দ মেনন এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে এক রাজ্যে ফেলে না রেখে বড় দায়িত্ব দিতে চায় বলে বিজেপি সূত্রে খবর।দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ২০২১ সালের আগে উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতে চাইছে না বলে জানা গিয়েছে।