কলকাতানিউজরাজ্য

তিনদিনের মধ্যেই সব জেলায় ভ্যাকসিন, ঘোষণা নবান্নের

×
Advertisement

কলকাতা: ১১ মাসের প্রতীক্ষার অবসান ঘটল অবশেষে। রাজ্যে এসেছে করোনা ভ্যাকসিন। যার অধীর অপেক্ষায় এতদিন ছিল রাজ্যবাসী। স্পাইস জেটের কার্গো বিমানে করে দুপুরেই কলকাতা বিমানবন্দের আসে কোভিশিল্ড। বিমানবন্দর থেকেই ভ্যাকসিন ইনসুলেটেড ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হয় বাগবাজারের কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল স্টোর্সে। সেখান থেকেই রাজ্যের কোনায়-কোনায় সেই ভ্যাকসিন মোট ৯৪১টি কোল্ড চেন পয়েন্টে পৌঁছে যাবে।

Advertisements
Advertisement

এদিকে ভ্যাকসিন আসতেই তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে নবান্নে। আগামী ১৬ তারিখ গোটা দেশের সঙ্গে রাজ্যেও শুরু হবে টিকাকরণ। তাই নিয়েই মঙ্গলবার রাজ্যের সমস্ত জেলার জেলাশাসক ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম৷ এরাজ্যে প্রথমে ভ্যাকসিন পাবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। জানা যাচ্ছে ৩ দিনের মধ্যে ভ্যাকসিন সব জেলায় জেলায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্য সরকার। তাই নিয়ে আলোচনা করতেই এই ভারচুয়াল বৈঠক আয়োজিত হয়। রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মীরা যাতে সবাই ভ্যাকসিন পান, কেউ যাতে বাদ না পড়নে, তার জন্য ডেটাবেস তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব।

Advertisements

এদিকে পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে এই পর্বে রাজ্যে ১০ লক্ষ ভ্যাকসিনের ডোজ এসেছে। ৫৮টি বাক্সে এই ১০ লক্ষ ভ্যাকসিন এসেছে। এরমধ্যে ৩ লক্ষ পাঠানো হচ্ছে পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে। বিমানবন্দরে ভ্যাকসিন আসতেই পাইলট কারের পাহারায় দুটি ভ্যানে করে ৭ লক্ষ ডোজ  কোভিশিল্ড  বাগবাজারের স্বাস্থ্য দফতরের ভ্যাকসিন স্টোরে নিয়ে আসা হয়। এদিন কলকাতা ছাড়াও দিল সহ ১২টি শহরে কোভিশিল্ড পাঠান হয়েছে।

Advertisements
Advertisement

দিল্লি কলকাতা ছাড়াও মুম্বই, চেন্নাই, কারনাল, আমদাবাদ, চণ্ডীগড়, লখনউ, ব্যাঙ্গলোর, হায়দরাবাদ, বিজয়ওয়াদা, ভুবনেশ্বর ও গুয়াহাটিতে এদিন পুণে থেকে পাঠান হল কোভিশিল্ড। ১৬ জানুয়ারি দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে করোনার টিকাকরণ প্রক্রিয়া। প্রথম দফায় টিকা পেতে চলেছেন ডাক্তার, নার্স,স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ সহ সমস্ত প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগের ড্রাই রান হয়ে গিয়েছে।

জানা যাচ্ছে এরাজ্যে প্রথম ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হবে এসএসকেএম এবং ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ এবং এনআরএস হাসপাতালে। এছাড়া প্রাথমিক স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রও বেছে নেওয়া হয়েছে। জেলা হাসপাতাল, প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, গ্রামীণ হাসপাতালেও হবে টিকাকরণ। প্রতিক্ষেত্রে ৫ জনের দল তৈরি করা হয়েছে, যারা টিকা দেবেন।

Related Articles

Back to top button