শ্রেয়া চ্যাটার্জি – সায়রা বিবি এবং তার কন্যা প্রতিদিন ১৫২ টাকা রোজগার করত প্রায় হাজার খানেক বিড়ি বেঁধে। ঘরের কাজ সামলে তারা এই সমস্ত কাজ করতো, এমন চিত্রটাই মুর্শিদাবাদ জেলার ঘরে ঘরে।
কিন্তু করোনা ভাইরাস এর জন্য চারিদিকে লকডাউন চলছে। কল-কারখানা বন্ধ। তাই তাদের বক্তব্য, তারা জানেন না তারা কিভাবে সংসার টেনে নিয়ে যাবেন। সরকার যখন লকডাউন ঘোষণা করেছেন তার সাথে সাথে এই বিড়ি শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যুক্ত প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ সংকটের মুখে পড়েছে।
দুগ্ধ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকার থেকে মিষ্টির দোকান খোলার অনুমতি দেয়। মহম্মদ জামাল উদ্দিন বলেন, প্রশাসন আমাদের বেলাতেই কেন নয়? তাদের বক্তব্য, সরকারের বিড়ি শিল্প অবশ্যই চালু রাখা উচিত, না হলে এর সঙ্গে যুক্ত মানুষগুলো না খেতে পেয়ে মরবে।
মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে প্রায় ১০০ টি বিড়ি কারখানা আছে। এখান থেকে বিড়ি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যায়। সামশেরগঞ্জ এলাকায় প্রায় ৮ লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে উৎপাদন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। প্রত্যেকটি পরিবার প্রায় ৫০০ টাকা করে প্রতিদিন রোজগার করে এই বেঁধে। যেদিন থেকে লক ডাউন শুরু হয়েছে, এই মানুষগুলো একটা কানাকড়িও পায়নি। এই বিড়ি কারখানার মালিকদের দাবি যতক্ষণ না সরকার বলছে, ততক্ষণ তারা এই উৎপাদন বন্ধ রাখবে।
আবুল হাসান খান যিনি West Bengal State Bidi and tobacco labourers Federation, জানান গোটা পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ২২ লাখ শ্রমিক এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত আছে তারা ২১ দিনের লকডাউন এর জেরে কার্যত বেকার হয়ে পড়েছেন। এমন অনেক জায়গা থেকে এমন অভিযোগও আসছে যে তারা সব সময় ফ্রিতে রেশন পাওয়া যাচ্ছে না, সব মিলিয়ে এই সমস্ত শ্রমিকদের অবস্থা সত্যি খুব করুন।