Today Trending Newsনিউজপলিটিক্সরাজ্য

দলবদলের রদবদল! বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বৈঠক বিজেপির দুই বিধায়কের

নোয়াপাড়া ও বনগাঁ উত্তরের প্রাক্তন দুই তৃণমূল বিধায়ক বিজেপি ঘুরে কি আবার ফিরে আসছেন ঘাসফুল শিবিরে?

Advertisement
Advertisement

একুশের নির্বাচন দোরগোড়ায়। এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেস দলবদল রোগে জর্জরিত। প্রায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা গেরুয়া শিবিরে যোগদান করায় তীব্র অস্বস্তিতে আছে শাসকদল। তবে এরই মাঝে ট্রেন্ড পরিবর্তন করছে দলবদল। যেন মনে হচ্ছে ঠিক খেলার পাশা বদলাচ্ছে। এবার জল্পনা উঠেছে যে বিজেপি ঘুরে আবারও তৃণমূলে ফিরতে চলেছেন নোয়াপাড়া ও বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক। আসলে ২ বিধায়ক আজ অর্থাৎ সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কিছু নিয়ে আলোচনা করে। সেই দেখে বঙ্গ রাজনীতিতে জল্পনা শুরু হয়েছে যে তাহলে এবার হয়তো তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া দুই নেতা বিজেপি ঘুরে ফের ঘাসফুল শিবিরেই নিজেদের নাম লেখাতে চলেছে।

Advertisement
Advertisement

নোয়াপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন সুনীল সিং এবং বনগাঁ উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। তারা কিছুদিন আগে দলবদলের ট্রেন্ডে গা ভাসিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেছিলেন। কিন্তু আজকে বিধানসভা অধিবেশনে তাদের আর বিজেপি বিধায়ক বলে মনে হলো না। দেখা গেল সম্পূর্ণ অন্য দৃশ্য। সকালেই বিশ্বজিৎ দাস তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলেন। এরপর দুই প্রাক্তন বিধায়ক মিলে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়ে কিছু বিষয়ে আলোচনা করেন। তাদের সাথে ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও অন্যদিকে পার্থ ভৌমিক। তাদের মধ্যে প্রায় ২০ মিনিট কথোপকথন চলে।

Advertisement

আজকে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দুইজন বিজেপি বিধায়কের এমন বৈঠক ফের দলবদলের যে এক সুদৃঢ় ইঙ্গিত দিচ্ছে, তা বলাই বাহুল্য। আসলে ভাটপাড়ার দাপুটে বিজেপি বিধায়ক অর্জুন সিং এর আত্মীয় হলে সুনীল সিং। এরপর প্রশ্ন উঠছে তাহলে বাংলা বিজেপি শীর্ষ নেতাদের ঘরে কি এবার ফুটবে ঘাসফুল? অবশ্য এই জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন দুই বিধায়ক মিলে। বরং তারা বলেছেন, কয়েকদিনের মধ্যে বিধানসভা নির্বাচনে নির্ঘণ্ট ঘোষণা হবে। তারপর নির্বাচনী বিধি লাগু হলে আর কোনো উন্নয়নমূলক কাজ হবে না। তাই আজ মুখ্যমন্ত্রীকে উন্নয়ন নিয়ে কথা বলার জন্য তারা সাক্ষাৎ করেছিলেন। তবে অন্যদিকে, সুনীল সিং এর ফের দলবদলের জল্পনা জিইয়ে রেখে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক মন্তব্য করেন।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button