![](https://cdn.bharatbarta.com/wp-content/uploads/2019/08/mamata.jpg)
রাজীব ঘোষ: তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে কলকাতার মেয়ো রোডের সমাবেশে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখেন।সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পেনশনটা তুলে দিলে অনেক টাকা বেচে যেতো।মানবিকতার জন্য আমরা পেনশন তুলে দিইনি।মমতা আরও বলেন, ত্রিপুরায় বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর রাজ্য থেকে পেনশন তুলে দিয়েছে।সমস্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পেনশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।কিন্তু একমাত্র পশ্চিমবঙ্গে এই পেনশন দেওয়া হয়।মানবিকতার কারনেই সেটা দেওয়া হচ্ছে।রাজ্যে এই মূহুর্তে কয়েক লক্ষাধিক রাজ্য সরকারি কর্মচারী পেনশন পাচ্ছেন।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের পরে তারা খারাপ সঙ্কেত দেখতে পাচ্ছেন।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এই সভা থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে মমতা বলেন, বিজেপি কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করে তৃণমূল ভাঙানোর চেষ্টা করছে।বিজেপিতে যোগ না দিলে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়ার ভয় দেখাচ্ছে।আমি জেলে যেতে রাজি আছি,কিন্তু বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতি মেনে নিতে রাজি নই।মমতা আরও বলেন, দেশে প্রেসিডেন্সিয়াল ডেমোক্রেসি চালু করার চেষ্টা হচ্ছে।মানুষের কথা বলার অধিকার নেই।সংবাদ মাধ্যমগুলোকে সব কিনে নিয়েছে।জেলে গেলে ভাবব স্বাধীনতার লড়াই লড়ছি।দেশ পরাধীন হয়ে গেছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে বহুবার বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতি এবং কেন্দ্রীয় সংস্থার ব্যবহার করার অভিযোগ করেছেন।লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের খারাপ ফলাফল হওয়ার পরে ছাত্র ছাত্রীদের সামনে আরও একবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে দলের অবস্থা ধরে রাখতে চাইছেন।তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি ১০৭ জন বিধায়কের নাম নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।এই কথা তারা বলছে।আগে ৭ জন বিধায়কের নাম বলো।আমরা বাংলায় লড়াই করি।এত সস্তা নয়।আজ আমার ভাইকে ডাকছে।কাল আমাকে ডাকবে।আমি জেলে যেতে রাজি কিন্তু বিজেপির রাজনীতি মেনে নেবো না।