নিউজদেশরাজ্য

নতুন বছর শুরু হতেই বাড়বে বেতন! বাংলার জন্য কয়েক কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে কেন্দ্র

Advertisement
Advertisement

কেন্দ্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলির বকেয়া নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও কেন্দ্রের মধ্যে দ্বন্দ্বের অবসান ঘটছে বলে মনে হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে দেখা করেছিলেন, যার পরে আশা করা হয়েছিল যে কেন্দ্র শীঘ্রই বকেয়া অর্থ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার অবশেষে পশ্চিমবঙ্গে কর হস্তান্তরের অতিরিক্ত কিস্তি হিসাবে ৫,৪৮৮.৮৮ কোটি টাকা ছাড় করেছে।

Advertisement
Advertisement

শুক্রবার কেন্দ্র বিভিন্ন সামাজিক কল্যাণমূলক পদক্ষেপ এবং অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য সমস্ত রাজ্যকে কর হস্তান্তর হিসাবে ৭২,৯৬১.২১ কোটি টাকা বিতরণ করেছে। কেন্দ্র জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি রাজ্যগুলিকে কর হস্তান্তরের কিস্তির পাশাপাশি এই অর্থ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র ১৪ টি বার্ষিক কিস্তিতে কর হস্তান্তর তহবিল বিতরণ করে।

Advertisement

West Bengal DA

Advertisement
Advertisement

সর্বশেষ বরাদ্দে উত্তর প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ১৩,০৮৮.৫১ কোটি টাকা পেয়েছে। এর পরেই রয়েছে বিহার (৭,৩৩৮ কোটি টাকা), মধ্যপ্রদেশ (৫,৭২৭.৪৪ কোটি টাকা), পশ্চিমবঙ্গ (৫,৪৮৮.৮৮ কোটি টাকা), মহারাষ্ট্র (৪,৬০৮.৯৬ কোটি টাকা), রাজস্থান (৪,৩৯৬.৬৪ কোটি টাকা) এবং ওড়িশা (৩,৩০৩.৬৯ কোটি টাকা)।

প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর মমতা ব্যানার্জি বলেন, কেন্দ্রের বকেয়া বকেয়ার মধ্যে রয়েছে প্রায় ৬৯১১ কোটি টাকা এমএনআরইজিএ পেমেন্ট। একইভাবে ৩৭.৩২ কোটি টাকা বেতন দায় এবং ৩১.৭৯ কোটি টাকা নন-ওয়েজ দায় বকেয়া রয়েছে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় অনুমোদিত ১১,০১,৭৩১টি বাড়ির জন্য কেন্দ্রীয় অংশ দেওয়া হয়নি। এছাড়াও, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে তহবিল প্রকাশ করেনি। বকেয়া পাওনা নিয়ে কেন্দ্র ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে।

মমতা বলেছিলেন, “আমরা ইতিমধ্যেই ১২৫ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছিলাম। ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১ কোটি ৬৬ লাখ ৬৬৫ টাকা দেওয়া হয়েছে। ১২৫ শতাংশ যখন ছিল, তখন ১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছিল। কম টাকা দেওয়া হয়নি। চার বছরের মধ্যে আমরা নয়া বেতন কমিশন গঠন করেছি। নয়া পে স্কেলের আওতায় ২০১৯ সাল থেকে রাজ্য সরকার ছয় শতাংশ ডিএ দিয়েছে। সেজন্য চার বছরে ৪১৪৪ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।”

Advertisement

Related Articles

Back to top button