দেশনিউজ

শান্তিপূর্ণভাবেই ভারত বনধের ডাক কৃষক নেতাদের

Advertisement
Advertisement

যত সময় গড়াচ্ছে, ততই শক্তিশালী হচ্ছে কৃষক আন্দোলন। সরকারের সঙ্গে ষষ্ঠ দফা বৈঠকের আগেই আগামীকাল কৃষকরা ভারত বনধ-র ডাক দিয়েছে। মূলত নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টির জন্যই এই বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের সমস্যা যাতে না হয়, সেই বিষয়টিকেও মাথায় রাখা হচ্ছে বলে জানানো হয় কৃষক সংগঠন-র তরফে।

Advertisement
Advertisement

সমগ্র দেশবাসীর কাছে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে সমর্থন জানানোর আবেদন রেখে কৃষক সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয়, আগামীকাল সকাল ১১টা থেকে দুপুর তিনটে অবধি বনধ ডাকা হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে বিনা সমস্যায় নিজেদের কাজে যোগ দিতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যেই সকাল ১১টা থেকে বনধ কর্মসূচি শুরু করা হচ্ছে। ছাড় দেওয়া হবে অ্যাম্বুলেন্স (Ambulance) ও বিয়েবাড়ির ক্ষেত্রেও।

Advertisement

এই বিষয়ে ভারতীয় কৃষাণ ইউনিয়ন-র মুখপাত্র রাকেশ তিকাইত বলেন,”সাধারণ মানুষের জন্য কোনও সমস্যা হোক, তা আমরা চাই না। সরকারের বেশ কিছু নীতিকে আমরা সমর্থন করি না, তা প্রকাশ করতেই এই প্রতিবাদ। এতদিন অবধি শান্তিপূর্ণভাবেই প্রতিবাদ প্রদর্শন করা হয়েছে এবং আগামী দিনেও একই পথ অনুসরণ করা হবে।” কর্মসূচি সম্পর্কে ভারতীয় কৃষাণ ইউনিয়নের সেক্রেটারি হরিন্দর সিং লাখোয়াল জানান, আগামীকাল কৃষক সংগঠনগুলির সদস্যরা জাতীয় সড়ক ও টোল প্লাজাগুলি আটক করে রাখবে।

Advertisement
Advertisement

অল মোটরস ট্রান্সপোর্ট ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়া আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোয় আগামীকাল দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজ্য ট্রাক চলাচলে প্রভাব পড়তে পারে। সংগঠনের তরফ থেকে একটি শান্তিপূর্ণ মিছিলের আয়োজন করা হবে এবং জেলা কালেক্টর ও কমিশনারদের কাছে দ্রুত সমস্যা সমাধান চেয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।

অধিকাংশ বিক্রেতা ও ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনই কৃষক আন্দোলনে সমর্থন জানানোয় আগামীকাল দিল্লির গাজিপুর, ওখলা ও নারেলা মান্ডি বন্ধ থাকবে। ফলে ফল ও সবজির জোগানে ঘাটতি দেখা দিতে পারে। একইভাবে মহারাষ্ট্রের ভাসি কৃষি পণ্য বাজারও বন্ধ থাকবে।

দিল্লি ও তামিলনাড়ুর কিছু ট্যাক্সি ইউনিয়ন-ও কৃষকদের প্রতি সমর্থন দেখিয়ে আগামীকাল গাড়ি না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে অটো ও অন্যান্য যানবাহন চালু থাকবে বলেই জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ইউনিয়নও এই প্রতিবাদে অংশ নেবে। কাজে যাতে প্রভাব না পড়ে, সেই কথা মাথায় রেখে সকলে হাতে কালো কাপড় বেঁধে কৃষকদের প্রতি সমর্থন জানাবেন।

বনধের সবথেকে বেশি প্রভাব দেখা যাবে পঞ্জাবে (Punjab)। বিগত একমাস ধরে সেখানে কৃষকরা প্রতিবাদ প্রদর্শন করছিলেন। এছাড়াও কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, তেলাঙ্গানা, ত্রিপুরা ও অসমএও ধরনা মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। ফলে সাধারণ জনজীবন ব্যাহত হতে পারে।

কেন্দ্রের শাসক দলের বিরোধী প্রতিটি দলই কৃষকদের প্রতি নিজেদের সমর্থন জানিয়েছেন। কংগ্রেস, শিবসেনা, ডিএমকে, আরজেডি, সমাজবাদী দল এনসিপি, আম আদমি পার্টি, গুপকর গোষ্ঠী, কৃষকদের ডাকে নিজ নিজ রাজ্যে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করবে বলে জানিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানালেও বনধে সমর্থন জানাননি।

Advertisement

Related Articles

Back to top button