কাল ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দিল বঙ্গ গেরুয়া শিবির। উত্তরকন্যা অভিযানে পুলিশের নিগ্রহের অভিযোগ এনেছে বিজেপি। অন্যদিকে বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদ ও করেছেন তারা। এইদিন শিলিগুড়িতেই এই বনধের ডাক দিয়েছেন বাংলার বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
সোমবার তথা আজ উত্তরকন্যা অভিযানকে ঘিরে ক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ছিল গোটা উত্তরবঙ্গ। অন্যদিকে সমস্যা হলে তাকে আটকাতে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল প্রশাসন। শিলিগুড়ি শহরের প্রায় সবগুলি প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেয় পুলিশ। তিনবাতি মোড়ে জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা। কাঁদানে গ্যাস এবং জলকামান প্রস্তুত রেখেছিল পুলিশ। অন্যদিকে করা হচ্ছিল ডুয়ার্সের রাস্তায় নাকা চেকিং ও। কিন্তু এতো কিছুর পরও গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা চেষ্টা করে উত্তরকন্যার দিকে এগোতে। তখন তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ফাটাতে শুরু করে দেয় পুলিশ। চেষ্টা চলে জলকামান ব্যবহার করে বিজপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার। শাসক শিবিরের অভিযোগ, বিপক্ষে বিজেপি কর্মীরা পুলিশদের দিকে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করেন। এরপর শুরু হয় খণ্ডযুদ্ধ। বহুবার চলে সংঘর্ষ। এই সময় পুলিশের মারে একজন কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ তোলা হয়েছে পদ্ম শিবির থেকে। সেই অভিযোগেই বাংলা বনধ ডাকার সিদ্ধান্ত নেন তারা।
গেরুয়া পক্ষের অভিযোগ, পুলিশের লাঠির আঘাতে চোট পান বিজেপির এক কর্মী উলেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। এইদিন বিজেপি সভাপতি বলেন,”আগে থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল এই কর্মসূচির বিষয়ে। কর্মীদের ওপর নির্মম ভাবে লাঠি চালিয়েছে পুলিশ।” এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও। তার বক্তব্য,”পুলিশের আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে দলীয় কর্মী উলেন রায়ের।” অনেক কর্মী আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে এই ঘটনার বিষয়ে রাজভবনে পাঠানো হয়েছে বিজেপির এক দলকে। পাঠানো হয়েছে এই বিষয়ে অভিযোগ করতে।