Today Trending Newsনিউজপলিটিক্সরাজ্য

বাংলায় ‘মোদি-শাহ’র প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক, কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল কংগ্রেস

গতকাল তৃণমূল কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের নয়াদিল্লির অফিসে পৌঁছে গিয়েছিল

Advertisement
Advertisement

একুশে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেছে বাংলায়। আগামী শনিবার পঞ্চম দফার নির্বাচনে ভোটগ্রহণ পর্ব হবে। তার আগে রাজ্যের প্রত্যেকটি দল পূর্ণউদ্যমে ভোট প্রচারের কাজে ব্যস্ত রয়েছ। এরমধ্যে তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দ্ব অব্যাহত রয়েছে বাংলায়। এবারপ্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করার অনুরোধ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল। তারা সরাসরি গতকাল অর্থাৎ বুধবার নয়া দিল্লি নির্বাচন কমিশন অফিসে পৌঁছে যায়। এই ঘটনার বিস্তৃত বিবরণ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement
Advertisement

গতকাল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে বসে বলেছেন, বাংলায় প্রচার করতে এসে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট অমান্য করেন। কিছুদিন আগে নরেন্দ্র মোদী কল্যাণীর জনসভা থেকে অভিযোগ করেছিলেন যে মতুয়াদের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস সরকার কিছু করেনি। এই মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছিলেন। কারণ নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী কোন রাজনৈতিক দল কোন বিশেষ জাতি সম্বন্ধে প্রচার করতে এসে মন্তব্য করতে পারবে না। এছাড়াও শ্রীরামপুরের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সমর্থকদের গুন্ডা বলে অভিহিত করা হয়েছে যা অবশ্যই নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের উদাহরণ।

Advertisement

সেইসাথে তিনি অমিত শাহকেও কাঠগড়ায় তুলে বলেছেন, “অমিত শাহ বারংবার জনসভায় দাঁড়িয়ে রাজবংশী এবং অন্যান্য জাতি সম্বন্ধে ভেদাভেদ করে মন্তব্য করেন। এটি হলো নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ। সত্বর মোদি ও শাহের বাংলা এসে নির্বাচনী প্রচার করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক।” এছাড়াও তিনি প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে বলেছেন, “মোদি প্রচার করতেছে এমন নিচুমানের কথা বলতে পারে যাতে শুনে মনে হয় আমরা রকে বসে কথা বলছি।”

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button