অফবিট

ভারতীয় সংস্কৃতিকে তুলে ধরেছেন রং তুলির মাধ্যমে, উত্তরাখণ্ডের দুই কন্যাকে স্যালুট

Advertisement
Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – আমাদের ভারত বর্ষ এক মহান দেশ। ঊনকোটি চৌষট্টি লক্ষ দেব দেবী পূজিত হন, ১৬৫২ টি প্রচলিত ভাষা, খাদ্যাভ্যাসও আলাদা আলাদা, পোশাক-পরিচ্ছদেও রয়েছে নিজেদের সংস্কৃতির ছাপ। কোথাও হ্যান্ডলুম কোথাও স্টিচ এর কাজ, তবে এসব মিলিয়ে বলতেই হয় বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য। একটাই মিল আমরা প্রত্যেকে ভারতবাসী। তবে পোশাকের মধ্যে দিয়ে ভারতবাসীর সংস্কৃতিকে আলাদা আলাদা করে তুলে ধরেছেন উত্তরাখণ্ডের দুই কন্যা। এটি তাদের এক অদ্ভুত প্রয়াস।

Advertisement
Advertisement

একটি ছোট্ট মেয়েকে নানান রকম ভাবে সাজিয়ে তারা ভারতীয় সংস্কৃতির বিভিন্ন জায়গায় কেমন পোশাক আশাক, তারই রং তুলির মাধ্যমে সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন। একজনের নাম তান্য কোটনালা, যিনি একজন ফ্যাশন ডিজাইনার। আরেকজন হলেন তান্য সিং, যিনি একজন নিউট্রিশনিস্ট। তাদের এই প্রয়াস এর নাম ‘ভুলি’ যার অর্থ ‘ছোট্ট বোন’।

Advertisement

ছবিগুলো দেখলেই বোঝা যায় কতটা যত্ন নিয়ে তারা এই কাজটি করেছেন। আসামের পুতুলটিকে সাজিয়েছেন আসাম সিল্ক এর শাড়িতে এবং এক পাশে মাথায় লাল ফুল গুঁজে, দেখে মনে হচ্ছে পুতুলটি এক্ষুনি ‘বিহুরে লগন’ নাচতে শুরু করবে। আবার কাশ্মীরের পুতুলটিকে দেখে মনে হচ্ছে পুতুলটি একেবারেই ‘কাশ্মীর কি কলি’। এইভাবেই নিখুঁত করেই পুতুল গুলির মধ্যে দিয়ে ভারতীয় সংস্কৃতির প্রকাশ পেয়েছে।

Advertisement
Advertisement

এই কাজটি করার পৌছাতেই দুই কন্যার কিছু উদ্দেশ্য রয়েছে। তাদের এই অঙ্কনশৈলীর মধ্য দিয়ে তারা ভারতবর্ষের বস্ত্র শিল্পের উৎকর্ষতা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছেন। শুধু তাই নয়, গ্রাম বাংলার মহিলাদের ঋতুকালীন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কথা এবং গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে বৈবাহিক ক্ষেত্রে যে সমস্ত ভয়াবহ চিত্র উঠে আসে তাও তারা তাদের চিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করতে চেয়েছেন।

Advertisement

Related Articles

Back to top button