![](https://cdn.bharatbarta.com/wp-content/uploads/2023/12/1.2-68.jpg)
ভারতীয় ফিল্ম জগতে এমন একজন তারকা আছেন যিনি, ছোটবেলা থেকে শুরু করে আজ ৬৬ বছর বয়সেও ফিল্ম জগতে নিজের অভিনয়ের মাধ্যমে একের পর এক দুর্দান্ত চরিত্র তৈরি করে চলেছেন। তবে সেই তারকাকে চিনতে পারেন খুব কম মানুষ। যদি আপনি সেই তারকার ছবি দেখেন তাহলে আপনিও হয়ে যাবেন অবাক। ধর্মেন্দ্র এবং সঞ্জীব কাপুরের সাথে শোলে ছবিতে অভিনয় করা বাচ্চাটি আজ লড়াই করছে ক্যান্সারের সঙ্গে। টেলিভিশন সিনেমা থেকে শুরু করে ওটিটি প্লাটফর্মের ওয়েব সিরিজ সব জায়গাতেই এই তারকার জনপ্রিয়তা একই রকম। কিন্তু, অনেকেই হয়তো জানেন না শোলে ছবিতে কাজ করা ওই বাচ্চাটি তিনি। মারাঠি এবং অন্যান্য কয়েকটি ভাষার ছবিতেও তিনি কাজ করেছেন। আপনিও কি জানতে চান সেই তারকাকে? চলুন সেটাই আজ জেনে নেওয়া যাক।
সাত্তে পে সাত্তা ছবিতে অমিতাভ বচ্চনের ভাই এর চরিত্র থেকে শুরু করে, শোলে ছবির আহমেদের চরিত্র, কিংবা নদীয়া কে পার ছবির চন্দন, এই সমস্ত চরিত্রেই ওই তারকা ছিলেন অনবদ্য। হ্যাঁ আপনারা একদম ঠিক ধরেছেন আমরা বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম অভিনেতা সচিন পিলগাঁওকার এর ব্যাপারে কথা বলছি। তিনি নিজের হাসি এবং দুর্দান্ত অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে একটা জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন। শিশু শিল্পী হিসেবে তিনি যতটা জনপ্রিয়, পরবর্তীকালে যৌবনেও তিনি একইভাবে সাফল্য পেয়েছেন। মাত্র চার বছর বয়সে অভিনয়ে জগতে পা রেখেছিলেন শচীন। পঞ্চাশটিরও বেশি চলচ্চিত্রে একজন শিশু শিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। এমন কি ধর্মেন্দ্র এবং সঞ্জীব কুমারের মতো তারকাদের সঙ্গেও দাপিয়ে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন শচীন।
শিশুশিল্পী হিসেবে জনপ্রিয়তা পেলেও পরবর্তীকালে প্রধান চরিত্রে কাজ পেতে তার একটু অসুবিধা হয়েছে। তার প্রথম সিনেমা ছিল বালিকা বধূ। বড়ে আচ্ছে লাগতে হে গানটি এই ছবির অন্যতম জনপ্রিয় একটি গান হয়ে উঠেছিল। এরপরে তিনি বেশ কিছু ছবিতে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন। শুধুমাত্র সিনেমার পর্দায় নয়, টিভিতে ও তিনি একাধিক ধারাবাহিককে অভিনয় করেছিলেন। হাস্যকৌতুক মূলক বেশ কিছু টিভি সিরিয়াল তিনি পরিচালনা করেছিলেন একটা সময়ে। বলিউডের পাশাপাশি মারাঠি সিনেমাতেও তিনি বেশ সক্রিয় ছিলেন একটা দীর্ঘ সময় যাবত। তার স্ত্রী সুপ্রিয়া পিলগাওকার মারাঠি ছবির একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। শোনা যাচ্ছে এই মুহূর্তে তার মেয়ে সিনেমা জগতে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে।