আন্তর্জাতিক

করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় এক অভিনব উদ্যোগ নেপাল সরকারের

Advertisement
Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি : গোটা বিশ্বের করোনাভাইরাস এর ত্রাস এখনও অব্যাহত রয়েছে। চীনের পরে ইতালি সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে। এর একটা কারণ হিসেবে বলা যাচ্ছে যে, প্রথমে ভাইরাসটিকে খুব একটা গুরুত্ব দেয়নি ইতালি। তাই ইতালিতে এমন বিভৎসভাবে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। চীনে যেহেতু এই ভাইরাসটির উৎস তাই চীন হাতে খুব একটা সময় পায়নি। এদিকে ভারতবর্ষ যথেষ্ট প্রস্তুতি নিচ্ছে ভাইরাসটি মোকাবিলায়। ভারতবর্ষে এখন করোনাভাইরাস স্টেজ টু চলছে। তিন নম্বর স্টেজে গিয়ে এই প্রত্যেকটি দেশে ভাইরাসটির ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। তাই ভারতবর্ষ চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে কিছুতেই এই ভাইরাসটি স্টেজ থ্রি তে গিয়ে না পড়ে।

Advertisement
Advertisement

এ বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে নেপাল সরকার। সেদেশে একটাও করোনা ভাইরাস এ আক্রান্ত রোগী মেলেনি তা সত্বেও তাদের প্রস্তুতি একেবারে তুঙ্গে। যদি সে দেশে কোনভাবে এই ভাইরাস আক্রান্ত হয় তা মোকাবিলার জন্য সরকার সবরকম ব্যবস্থা করেছেন। যা সত্যিই একটি দায়িত্বশীল দেশের করা উচিত, তেমনটাই করেছে। তাঁবুর জায়গা হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে নেপাল সেনাবাহিনীর প্রধান কার্যালয়ের জায়গাকে। রাজধানী কাঠমান্ডু ত্রিপুরেশ্বরী নেপালের সেনাবাহিনী সদর দপ্তর। আর সেখানেই প্রায় ৫৩ টি তাঁবু তৈরি করা হয়েছে, যেখানে আপাতত ১০৮ জনকে রাখার ব্যবস্থা করা যাবে বলে জানিয়েছে নেপাল সরকার। জরুরী সময় কালে কিভাবে এই সমস্ত রোগীদের সামলাবেন তা নিয়ে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে নেপালের সেনাবাহিনীকে।

Advertisement

তারা একেবারেই প্রস্তুত সব দিক থেকে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা করার জন্য। রোগ সামলানোর জন্য যে তাঁবুগুলো রাখা হয়েছে, তার সবই চীন সরকারের পাঠানো। কিন্তু এই তাঁবু গুলোকে যথাসময়ে তৈরি করে একেবারে এই ভাইরাস মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত করে নেপাল সরকার যে কোন দেশের কাছে একটা অসাধারণ উদাহরণ হয়ে থাকবে। নেপাল যা করেছে তার সত্যি এক কথায় অনবদ্য। যা দায়িত্বশীল দেশ হিসাবে প্রতিটি দেশের এমন করণীয় উচিত ছিল। বিশেষ করে ইতালি যদি একটু দায়িত্ব নিয়ে কয়েক দিন আগে থেকে ব্যবস্থা নিত, তাহলে হয়তো এতটা মহামারীর আকার ইতালিতে ধারণ করত না।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button