প্রেমের টানে পাকিস্তান থেকে কলকাতায় নববধূ, আগে একাধিকবার ভিসা নাকচ করেছিল ভারত সরকার

করাচির বাসিন্দা আজমত ইসমাইল খানের ২১ বছর বয়সী মেয়ে জাওয়ারিয়া খানমকে ৪৫ দিনের ভিসা দিয়েছে ভারত সরকার। জাভেরিয়া খান মঙ্গলবার আট্টারি সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। সেখানে তার স্বামী সমীর…

Avatar

করাচির বাসিন্দা আজমত ইসমাইল খানের ২১ বছর বয়সী মেয়ে জাওয়ারিয়া খানমকে ৪৫ দিনের ভিসা দিয়েছে ভারত সরকার। জাভেরিয়া খান মঙ্গলবার আট্টারি সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। সেখানে তার স্বামী সমীর খান এবং শ্বশুর আহমেদ কামাল খান ইউসুফজাই তাকে স্বাগত জানান। আট্টারি সীমান্ত ছেড়ে তারা শ্রী গুরু রামদাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছবেন এবং এখান থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হবেন। সমীর এবং জাভেরিয়া খানম বাগদান আবদ্ধ হয়েছেন। এর আগে জাভেরিয়াকে ভারত দু’বার ভিসা প্রত্যাখ্যান করেছিল।

এরপর তিনি সমাজকর্মী ও সাংবাদিক মকবুল আহমেদ ওয়াসি কাদিয়ানের সংস্পর্শে আসেন। তিনি ইতিমধ্যে অনেক পাকিস্তানি নববধূকে ভিসা পেতে সহায়তা করেছেন। এক্ষেত্রে মকবুল আহমেদ তাকে অনেক সাহায্য করেন এবং তার প্রচেষ্টায় সমীর খানের বাগদত্তাকে ভারত সরকার ভিসা দেয়। কলকাতার বাসিন্দা সমীর খান বলেন, ‘খানমের সঙ্গে দেখা করে আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।’

cross border love

সমীর এবং জাভেরিয়া ৬ জানুয়ারি বিয়ে করেছিলেন এবং ২০১৮ সালে বাগদান করেছিলেন। ভারত সরকার জাভেরিয়াকে দু’বার ভিসা দিতে অস্বীকার করেছিল। সমীর খান বলেন, সাড়ে পাঁচ বছর আগে আমি আমার মায়ের মোবাইল ফোনে জাভারিয়ার ছবি দেখেছিলাম এবং ছবিটি দেখার পর আমি জাভারিয়ার প্রেমে পড়ে যাই। তিনি করাচির বাসিন্দা আজমত ইসমাইল খানের এক আত্মীয়ের মেয়ে মাকে বলেছিলাম যে আমি জাভারিয়াকে বিয়ে করব। অনেক বাধার পর ২০১৮ সালে আমরা বাগদান করি। এর পর সীমান্ত প্রাচীর বাধা হয়ে দাঁড়ায়।’

ভারতে পৌঁছানোর পর জাভেরিয়া খানম বলেন, ‘সাড়ে পাঁচ বছর পর ভিসা পেয়েছি। আমার আনন্দের সীমা নেই। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে আমি এখানে আছি। ভারত সরকার আমাকে ৪৫ দিনের ভিসা দিয়েছে। যে আবেদন করা হয়েছিল তা স্বীকার করা হয়েছে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আমরা কলকাতায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হব। পাকিস্তানেও সবাই খুশি।’