নিউজরাজ্য

করোনা মোকাবিলায় মাস্ক তৈরি একাদশ শ্রেণির ছাত্রী, কেন্দ্র থেকে এলো সম্মান

Advertisement
Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – গোটা বিশ্ব করোনা আতঙ্কের সন্ত্রস্ত হয়ে রয়েছে। কিভাবে এই করোনাকে ঠেকানো যায়, মানুষ ক্রমাগত বুদ্ধি দিয়ে তা বার করার চেষ্টা করছে। চলছে নানান রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা। ল্যাবরেটরি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের ঘরেও পরীক্ষা-নিরীক্ষার নমুনা দেখা যাচ্ছে। কখনো সফল হচ্ছে কখনো বা অসফল। সাফল্য আসুক বা না আসুক চেষ্টা সকলেই করে চলেছেন। তাবড় তাবড় দেশের বৈজ্ঞানিকরা দিনরাত চেষ্টা করছেন কিভাবে করোনাকে গোটা বিশ্ব থেকে সরিয়ে ফেলা যায়।

Advertisement
Advertisement

করোনা প্রাণ নিয়েছে বহু মানুষের। এখনো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা বিশ্বে। ভারতবর্ষ এও প্রভাব কিছু কম নয়। ভারতবর্ষে বিভিন্ন জায়গাতে চেষ্টা চলছে কিভাবে এর মোকাবিলা করা যায়। চেষ্টা করতে করতে এই সাফল্যের মুখ দেখিয়েছেন এক একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। তিনি তৈরি করে ফেলেছেন এক বিশেষ ধরনের মাস্ক। ছাত্রীর নাম দিগন্তিকা বসু। দিগন্তিকা চিকিৎসার ক্ষেত্রে যে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছেন এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি মেমারির সুলতানপুর এর বাসিন্দা। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি বিদ্যাসাগর স্মৃতি বিদ্যামন্দির এর একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। সে তৈরি করে ফেলেছে ‘পিওর এয়ার প্রোভাইডার এন্ড ভাইরাস ডেস্ট্রয়ার মাস্ক’, অর্থাৎ শুদ্ধ বাতাসও দেবে আবার ভাইরাস কেউ নষ্ট করে দেবে। মাস্কটি তিনি দুটি ভাগে ভাগ করেছেন। একটি ভাগ দিয়ে শ্বাস গ্রহণ করার সময় বায়ুর সঙ্গে মিশে থাকা ধূলিকণা মাস্কে আটকে যাবে। শুধু তাই নয়, ভাইরাসকেও ভেঙে ফেলবে।

Advertisement

আর অন্য ভাগটির মাধ্যমে বিশুদ্ধ বাতাস হয়ে মানুষের ফুসফুসের মধ্যে চলে যাবে। সমস্ত খরচ মিলিয়ে, মাস্কটি বানাতে মাত্র ২০০ টাকা খরচ হয়েছে। তবে দিগন্তিকার তৈরি এমন মাস্ক এর খবর দিগন্ত পেরিয়ে পৌঁছে গেছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। কেন্দ্রীয় সরকার থেকে, এই মাস্ক তৈরীর জন্য তাকে সম্মান প্রদান করেন। তারা দিগন্তিকার সম্মতি নিয়েই ‘ন্যাশনাল ইনোভেশন ফাউন্ডেশন ইন্ডিয়া’ ভারতের সমস্ত জায়গায় এই ধরনের মাস্ক বিলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই মাস্কটি সহজলভ্য হওয়ায় অনেকেই এটি কিনতে পারবেন। শুধুমাত্র চিকিৎসা কর্মীরা নয় সাধারণ মানুষ ও এটি ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। এত অল্প বয়সে এত সুন্দর বুদ্ধি খাটিয়ে দিগন্তিকা যে মাস্কটি তৈরি করেছে তার জন্য তাকে কুর্নিশ জানাতে হয়।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button