Today Trending Newsনিউজপলিটিক্সরাজ্য

‘নন্দীগ্রামে মমতার হার নিশ্চিত’, পুত্র শুভেন্দুর হয়ে ব্যাট ধরলেন শিশির অধিকারী

শিশির অধিকারী বললেন, "শুভেন্দু এবারের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে"

Advertisement
Advertisement

একুশে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল পূর্ণ উদ্যমে তাদের ভোট প্রচারের কাজ করে যাচ্ছে। তারই মধ্যে আজ অর্থাৎ শনিবার বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা এবারের বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দুই দফার ৬০ আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। তাতেই আশাতীত ভাবে নন্দীগ্রামের প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূলত্যাগী শিশির পুত্র শুভেন্দু অধিকারী। তার বিপরীতে নির্বাচনী লড়াই লড়ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে মমতা বনাম শুভেন্দুর যে হেভিওয়েট লড়াই হবে তা নিয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।

Advertisement
Advertisement

আজকে প্রার্থী তালিকাতে শুভেন্দু অধিকারীর নাম নন্দীগ্রামে থাকার পর কাঁথির শান্তিকুঞ্জ থেকে শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী মন্তব্য করেছেন। তৃণমূলের এই প্রবীণ সাংসদ বলেছেন, “শুভেন্দু অধিকারী গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে এবার এখানে বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। আমাকে প্রচারে নামতে হবে বলে মনে হচ্ছে না। তবে যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে পুত্রের হয়ে নন্দীগ্রামে প্রচার করবো আমি।” তবে এখানেই শুরু হয়েছে বিতর্কের।

Advertisement

তৃণমূল সাংসদ হয় কি করে বিজেপির হয়ে প্রচার করবে সেই প্রশ্ন উঠলে শিশিরবাবু নিজে জানিয়েছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়ে খুব ভুল করেছেন। এখানে তার জয় অসম্ভব। ভোটের ফল কখনোই ওর পক্ষে যাবে না। শুভেন্দু নন্দীগ্রাম থেকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, “চোখের চিকিৎসার পর এখন আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি। ডাক্তার বলে দিয়েছে এবার থেকে আমি বেরোতে পারি। তাই যদি দরকার পরে তাহলে শুভেন্দুর হয়ে প্রচার করবো আমি। শুভেন্দুর যদি বাবার সাহায্য লাগে তাহলে বাবার সাহায্য করতে কোন দ্বিধা নেই।”

Advertisement
Advertisement

এছাড়াও এদিন শিশির অধিকারী নন্দীগ্রামবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, “নন্দীগ্রাম আন্দোলনে অধিকারী পরিবারের যোগদান কতটা তা সবাই জানে। তবে সম্প্রতি দলের পক্ষ থেকে যে আমাদের অপমান করা হয়েছে তা নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। নন্দীগ্রামের মানুষ তাদের ভূমিপুত্রকেই জয়ের মুখ দেখাতে চাইবে। আজ মেদিনীপুরের মানুষ যদি তাদের ভূমিপুত্রের পাশে না দাঁড়ায় তাহলে ধরে নিতে হবে মেদিনীপুরে মানুষদের আত্মসম্মান রসাতলে গেছে।”

Advertisement

Related Articles

Back to top button