নিউজপলিটিক্সরাজ্য

“আমি বাংলার ছেলে, ভারতের ছেলে”, অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিজের “পরিচয়” দিলেন শুভেন্দু

Advertisement
Advertisement

বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারী নামটার সাথেই যেন বিতর্ক জড়িয়ে আছে। আসন্ন বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু কি করবেন তা ঠাহর করে উঠতে পারছে না কেউই। এই নিয়ে নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে বঙ্গ রাজনীতিতে চলছে প্রবল চাপানউতোর। এরপরের শুভেন্দুর পদক্ষেপ কি হতে পারে তা নিয়ে দিশাহীন গোটা রাজনৈতিক মহল। অবশ্য শুভেন্দু প্রকাশ এর রাজনৈতিক কথা না বললেও চালিয়ে যাচ্ছেন তার অরাজনৈতিক সভা। ও রাজনৈতিক সভা বা কর্মসূচিতে গিয়ে রাজনীতি কথা না বললেও তাৎপর্যপূর্ণ কিছু কথা বলছেন যা নতুন জল্পনার সৃষ্টি করছে। আবার কোন কথাতে শুরু হলো বিতর্ক তাহলে?

Advertisement
Advertisement

আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর ১৩১ তম জন্মবার্ষিকীতে আবারো অরাজনৈতিক কর্মসূচি করতে দেখা গেল শুভেন্দু অধিকারীকে।আজ সকালে তার কাঁথি সেন্টাল বাস স্ট্যান্ডে শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর মূর্তিতে মাল্যদান করার কথা ছিল। অবশ্য সেই অনুষ্ঠানে যাননি তিনি। বরং তিনি সরাসরি পৌঁছে গিয়েছিলেন তমলুকের কর্মসূচিতে। সেখানে ক্ষুদিরাম বসুর মূর্তিতে মাল্যদান করে তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতির উদ্যোগে তমলুক হাসপাতাল মোড় থেকে হ্যামিল্টন হাই স্কুল পর্যন্ত পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন তিনি। পুরো পদযাত্রা সময় তার হাতে ছিল ভারতের তিরঙ্গা।

Advertisement

তারপর পদযাত্রা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে তিনি কোন রাজনৈতিক মন্তব্য করতে চাননি। বরং রাজনৈতিক পরিচয় জিজ্ঞেস করলে তিনি সগর্বে বলেন, “আমি বাংলার ছেলে, আমি ভারতের ছেলে।” তিনি দাবি করেছেন এর আগে যেমন ভাবে নন্দীগ্রামের জন্য তিনি “লড়াই” করেছিলেন আবার ঠিক ভাবেই “বাংলার জন্য লড়াই” করবেন তিনি। তাঁর এই বক্তব্যকে ঘিরেই আবার শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা। তিনি বলেছেন, “আমি ভারতের ছেলে”। তাহলে এই বক্তব্য নিছকই সাধারণ না তাৎপর্যপূর্ণ?

Advertisement
Advertisement

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার রাত্রে সৌগত রায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশান্ত কিশোরের সাথে মন খোলাখুলি কথা বলে শুভেন্দু অধিকারী। হাই ভোল্টেজ ২ ঘন্টার বৈঠকের পর সৌগত রায় জানিয়ে দেয় শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে আছেন। কিন্তু তার পরদিনই শুভেন্দু অধিকারী সৌগত রায়কে মেসেজ করে জানিয়ে দেয়, “কোন সমস্যার সমাধান না করে এরকম ভাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার কোন প্রয়োজন ছিল না। এরকম ভাবে চললে একসাথে কাজ করা মুশকিল। আমাকে মাফ করবেন।” তার এই মেসেজের পর রীতিমত তোলপাড় পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। আসলে শুভেন্দু অধিকারীর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত গোটা বঙ্গ রাজনীতি।

Advertisement

Related Articles

Back to top button