দেশনিউজ

কৃষক আন্দোলন নিয়ে উসকানিমূলক বার্তা, সরকার ও টুইটার কর্তৃপক্ষকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

Advertisement
Advertisement

নয়াদিল্লি: কৃষক আন্দোলন নিয়ে সরকার (Central Govt) এবং টুইটারের (Twitter) মধ্যে সঙ্ঘাতের আবহে আজ, শুক্রবার (Friday) দু’পক্ষকে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Cout)। ভুয়ো খবর এবং উস্কানিমূলক বার্তা নিয়ে তারা কী পদক্ষেপ করছে, তা নিয়ে শুক্রবার জানতে চেয়েছে আদালত।

Advertisement
Advertisement

গত বছরের মে মাসে, নেটমাধ্যমে ভুয়ো খবর এবং উস্কানিমূলক বার্তা নিয়ে একটি হলফনামা দাখিল করেন বিজেপি নেতা বিনীত গোয়েঙ্কা। সেই হলফনামায় টুইটারকে কাঠগড়ায় তুলে বলা হয়েছে, বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে এমন বিষয় এবং বিজ্ঞাপন আটকাতে কী ব্যবস্থা নিয়েছে তারা। শুধু তাই নয়, ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকেও যে উস্কানিমূলক বার্তা ছড়ানো হচ্ছে, সেই অ্যাকাউন্টগুলোর বিরুদ্ধেই বা কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? এই মুহূর্তে কৃষক আন্দোলন নিয়ে তেতে রয়েছে গোটা দেশ। তার মধ্যে টুইটারকে ব্যবহার করে কৃষক আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে বহু টুইট বিতর্ক আরও বাড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, আন্দোলনকে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। ‘খলিস্তানপন্থী’দের যোগ রয়েছে, এমন নানা অভিযোগ তুলে সেই ধরনের অ্যাকাউন্টগুলোকে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। আর তা নিয়েই সরকার এবং টুইটারের মধ্যে একটা টানাপড়েন চলছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবারই সংসদে কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, “টুইটার, ফেসবুক, লিঙ্কডইন এবং হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবসা করতেই পারে। কিন্তু দেশের সংবিধান এবং আইন মেনে তাদের চলতে হবে।” এর আগে একাধিক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার জন্য টুইটারকে নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু টুইটার বাকস্বাধীনতার প্রশ্ন তুলে সরকারের নির্দেশকে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়ে জানায়, তারা মনে করে সরকার যে নির্দেশ দিয়েছে, সেই নির্দেশ দেশের আইন মেনে দেওয়া হয়নি। এর পরই দু’পক্ষের মধ্যে সঙ্ঘাত হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষক আন্দোলন নিয়ে তেতে রয়েছে দেশ। সেই ঘটনাকে ঘিরে বেশ কিছু টুইট নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। যা নিয়ে সরকার, টুইটারের মধ্যে টানাপড়েন চলছে। এমন পরিস্থিতিতে দু’পক্ষকে ভুয়ো খবর এবং উস্কানিমূলক বার্তা নিয়ে এ ধরনের নোটিস যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button