আয়ের দারুণ সুযোগ দিচ্ছে SBI, এখন ঘরে বসেই আয় করতে পারবেন ৬০ হাজার টাকা

গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, বর্তমানে একাধিক নতুন নিয়ম চালু করছে। কিছুদিন আগেই স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া হোয়াটসঅ্যাপ ব্যাঙ্কিং চালু করেছিল। বলা যেতে পারে গ্রাহকদের ভালো পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নিরন্তন পরিশ্রম করে চলেছে দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। এই স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া দেশের বৃহত্তম ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচিত হয়। এই ব্যাঙ্ক অনেকেরই কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে। এবার স্টেট ব্যাঙ্ক নিয়ে এসেছে একটি নতুন স্কিম। যার মাধ্যমে আপনি বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এসবিআই এর এই প্ল্যান জেনে নিলে আপনাকে আর কোনদিন চাকরির জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।

আসলে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া গোটা দেশজুড়ে তাদের এটিএম সম্প্রসারণের কাজ করছে। স্টেট ব্যাঙ্ক এখন এটিএম ফ্র্যাঞ্চাইজি দিয়ে মানুষকে বিপুল পরিমাণ উপার্জনের সুযোগ দিচ্ছে। আপনি যদি এসবিআই এটিএম-এর ফ্র্যাঞ্চাইজি নেন, তাহলে আপনি সহজেই বাড়ি বসে প্রতি মাসে ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি ১ বছরে প্রায় ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা বা ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এই সুবিধা নেওয়ার জন্য আপনার আবাসিক এলাকায় খালি জমি থাকতে হবে। তাহলেই আপনি এটিএম ইনস্টলেশনের জন্য আবেদন করতে পারেন।

তবে এর জন্য নির্দিষ্ট কতগুলি শর্ত রয়েছে – আপনার অবশ্যই ৫০-৮০ বর্গফুট জমি থাকতে হবে। এটি অন্য এটিএম থেকে কমপক্ষে ১০০ মিটার দূরে থাকতে হবে। এই জায়গাটি নিচতলায় হওয়া উচিত এবং সকলের ভালো দৃশ্যমানতা থাকা উচিত। এছাড়া সেখানে ১ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ সংযোগ ছাড়াও ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকতে হবে। এই এটিএম-এর ক্ষমতা প্রতিদিন প্রায় ৩০০টি লেনদেন হওয়া উচিত। অতএব যেকোন ব্যক্তি এখন খুব সহজেই খালি জমিতে কংক্রিটের ঘর বানিয়ে এটিএম বসিয়ে মোটা টাকা আয় করতে পারবেন।

আপনার খালি জমিতে এসবিআই এটিএম ইনস্টল করতে আপনার কিছু নথি থাকতে হবে। এর জন্য প্রথমে আপনার আধার কার্ড, প্যান কার্ড, বিদ্যুৎ সংযোগের রসিদ, জমির প্রমাণ, আবাসিক শংসাপত্র, জন্ম শংসাপত্র এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ফটোকপি থাকতে হবে। আপনাকে এই কাগজপত্র সহ টাটা ইন্ডিক্যাশ বা মুথুট এটিএম বা ইন্ডিয়া ওয়ান এটিএম এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে পারেন। এই এটিএম ফ্রাঞ্চাইজি পাওয়ার জন্য ২ লাখের সিকিউরিটি ডিপোজিট ও ৩ লাখের ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল খরচ করতে হবে। অর্থাৎ আপনার প্রথমে খরচ হবে ৫ লাখ টাকা। এরপর নগদ লেনদেন প্রতি ৮ টাকা এবং নগদবিহীন লেনদেনের জন্য ২ টাকা পাবেন আপনি। এই হিসাবে আপনি খুব সহজেই প্রতি মাসে ৬০,০০০ টাকা থেকে ৭০,০০০ টাকা উপার্জন করতে পারবেন।