নিউজপলিটিক্সরাজ্য

ব্রাহ্মণদের দাবি দাওয়া পুরন না হলে কলকাতা অবরুদ্ধ করে দেব, হুঁশিয়ারি রাজিবের

Advertisement
Advertisement

কিছুদিন আগে থেকেই তৃণমূলে বেসুরো বাজতে শুরু করেছেন তৃণমূলের অন্যতম বড় নেতা বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকদিন আগে তিনি তাঁর দলের বিরুদ্ধে বোমা ফাটিয়ে বলেছিলেন, যারা যোগ্যতার সঙ্গে কাজ করছেন তারাই প্রাধান্য পাচ্ছেন না। এখন স্তাবকতার যুগ। যারা স্তাবক হতে পারবেনা তাদের কোন জায়গা নেই। যোগ্যতার সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করেছি। তাই সঙ্গে সঙ্গে পিছনের সারিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এখন স্তাবকতা সর্বত্র।

Advertisement
Advertisement

এরকম মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে শুরু হয় জল্পনা। তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এরকম মন্তব্যের পর অনেকেই মনে করতে শুরু করেছেন শুভেন্দু অধিকারীর পর এবারে তারই দেখানো পথে হাঁটতে চলেছেন রাজিব ব্যানার্জি। কিন্তু তার পরবর্তীতে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম রাজীবের পক্ষ নিয়ে বলেন, ” ও অনেক পরিণত নেতা। আশাকরি গ্যাস খাবেনা।” বিধানসভা ভোটের ঠিক আগের মুহূর্তে স্তাবকতা নিয়ে মুখ খুলে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন রাজিব। শুভেন্দুর পর এবার তার নামে ও জায়গায় জায়গায় পোস্টার পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে নিজের অবস্থানে অনড় থাকার কথা জানিয়ে জল্পনা আরো বাড়িয়েছেন তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা।

Advertisement

শুক্রবার গত সপ্তাহের মন্তব্যের রেশ টেনে রাজিব বললেন,” আমি তো নিজের মুখে বলেছি সেই কথা। আমি তো অস্বীকার করতে পারিনা। আমি প্রকাশ্যে বলেছিলাম।” তিনি আরো জানালেন,”যত মত, তত পথ। ঠাকুর আমায় পাঠিয়েছে মানুষের পাশে কাজ করার জন্য এবং মানুষের সেবা করার জন্য। তবে যেখানে মুখ খোলার সুযোগ আছে সেখানে থাকবো।”

Advertisement
Advertisement

যদিও এখনও পর্যন্ত দলেই রয়েছেন বলে দাবি রাজিবের। এদিন তিনি ব্রাহ্মণদের দাবি-দাওয়া মেটাতে কলকাতা অবরুদ্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। পাশাপাশি বলেছেন, আমি এখনো তৃণমূলে আছি, তৃণমূল মন্ত্রিসভায় আমার স্থান আছে। তবে ব্রাহ্মণদেরও দাবি-দাওয়া রয়েছে। সেই দাবি দাওয়া কারণ না হলে কলকাতা অবরুদ্ধ করে দেব। রাজ্যজুড়ে আন্দোলন হোক, আমি চাইছি সনাতন ধর্মের মানুষ সুখে থাকুন। আমার এই পথে যদি বাধা হতে চান তাহলে অন্য পথ আছে। প্রসঙ্গত, পুজোর আগে সনাতনী ব্রাহ্মণদের মাসিক ভাতা দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন সেই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা কে বার্তা দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আরো বলেন, ” সব ব্রাহ্মণকে দেখতে হবে। শুধুমাত্র ৮ কি ৯ হাজার ব্রাহ্মণের জন্য করলে কিন্তু হবে না। আমি চাই সকলে যাতে খুশি থাকুক।”

Advertisement

Related Articles

Back to top button