নিউজপলিটিক্সরাজ্য

কংগ্রেসের যোগদানের জন্য রাহুল গান্ধী ফোন করলেন শুভেন্দু অধিকারীকে, কি উত্তর দিলেন শুভেন্দু?

Advertisement
Advertisement

একুশে নির্বাচনের আগে বঙ্গ রাজনীতিতে হটকেক শুভেন্দু ইস্যু। সেপরবর্তী সময় কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দেবে তা নিয়ে চলছে জল্পনাকল্পনা। শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী তাকে কংগ্রেসে যোগদান করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে তখন কংগ্রেস এ যোগদান দেওয়ার ব্যাপারটায় ততটা শোরগোল হয়নি। তবে এবার খোদ কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী শুভেন্দু অধিকারীকে ফোন করে কংগ্রেসে যোগদান করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। এরপরই রাজ্য ও জাতীয় রাজনীতিতে শুভেন্দু ইস্যু নিয়ে পুনরায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

Advertisement
Advertisement

সোনিয়া গান্ধী তনয় রাহুল গান্ধী সরাসরি তার দূত মারফত শুভেন্দু অধিকারীকে ফোন করায়। ফোনে রাহুলের দূত শুভেন্দু অধিকারীকে বলেন, “রাহুল গান্ধী চাইছেন আমি কংগ্রেসে যোগ দিন। আপনার তো এমনিতেই কংগ্রেসী ঘরানা। আপনার বাবা শিশির অধিকারী দীর্ঘদিন কংগ্রেস রাজনীতি করেছে এবং কংগ্রেস বিধায়ক ছিলেন।” এছাড়াও জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগেই রাহুল গান্ধীর সাথে শুভেন্দু অধিকারী কথা হয়েছিল। তাতে শুভেন্দু কংগ্রেসে যোগদান করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও পরে তা আর হয়ে ওঠেনি।

Advertisement

বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারী যে তৃণমূল ছাড়বে তা একপ্রকার নিশ্চিত। কিন্তু সেই সাথে বঙ্গ রাজনীতিতে জল্পনা চলছে যে আগামী ১৯ ডিসেম্বর শনিবার অমিত শাহ বাংলা সফরে এলে তিনি হয়তো সেদিন বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন। কিন্তু তার মাঝে কংগ্রেস কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাহুল গান্ধীর শুভেন্দু অধিকারী কে কংগ্রেসে যোগদান করানোর আহবান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এমনিতেই বঙ্গ রাজনীতিতে বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারী বেশ প্রভাবশালী। এর মাঝে শুভেন্দু একবার কংগ্রেসে যোগদান করলে হয়তো বঙ্গে আবার কংগ্রেস শাসন প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।

Advertisement
Advertisement

তবে শুভেন্দু প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই রাহুল দূতকে তার ইচ্ছা সাফ জানিয়ে দিয়েছে। শুভেন্দু ফোনে বলেছেন, “এখন সেটা সম্ভব নয়। তবে আমি কংগ্রেসের সাথে সুসম্পর্ক ও সৌজন্য বজায় রাখতে চাই। আমার জন্মদিনে উনি ফোন করেছিলেন এবং আমি তা তো খুবই খুশি হয়েছিলাম। উনাকে আমি ধন্যবাদ জানাই।” সুতরাং এটা নিশ্চিত শুভেন্দু কংগ্রেসে যোগদান করবে না। তাহলে শনিবার হয়তো শুভেন্দু গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেবে বলেই ধারণা বঙ্গ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

Advertisement

Related Articles

Back to top button