দেশনিউজ

‘বিচারের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়ব, কেউ আমাদের আটকাতে পারবে না’, হাথরস থেকে হুঙ্কার প্রিয়াঙ্কার

Advertisement
Advertisement

উত্তরপ্রদেশ: হাথরস কান্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেছে গোটা দেশ। বৃহস্পতিবার নির্যাতিতা তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে কার্যত গ্রেফতার হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। তারপরও কোনওকিছুকে এতটুকু পরোয়া না করে আজ, শনিবার ফের হাথরসের পথে রওনা হন রাহুল গান্ধী। ছিলেন প্রিয়াঙ্কাও। এমনকি গাড়ির চালকের আসনে বসেছিলেন রাহুল ভগিনী। পাশে ছিলেন সনিয়া-পুত্র। আর পেছনে ছিলেন কংগ্রেসের 30 জন প্রতিনিধি। কিন্তু এবারও প্রথমে আটকে দেওয়া হয় রাহুলদের। কিন্তু অবশেষে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফ থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কাকে হাথরসে যাওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। আর হাথরসে পৌঁছানো মাত্রই সেখান থেকে যোগী আদিত্যনাথ তথা উত্তর প্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত হুঙ্কার দেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা।

Advertisement
Advertisement

প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘যেভাবে আমাদের হাথরসে আসা আটকানো গেল না, ঠিক তেমনই বিচারের জন্য আমরা যে লড়াই চালাচ্ছি, সেই লড়াইয়ও থামানো যাবে না। বিচারের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়ব। যোগী পুলিশ কেন অন্য কেউও আমাদের আটকাতে পারবে না।’ এভাবেই কার্যত হুঙ্কার দিলেন প্রিয়াঙ্কা।

Advertisement

প্রসঙ্গত, শনিবার প্রথমে দিল্লি নয়ডা টোলপ্লাজার কাছে আটকে দেওয়া হয় রাহুলদের। জানানো হয় 144 ধারা জারি রয়েছে, যা লংঘন করা যাবে না। তাই সেখানেই গাড়ির ওপর উঠে কার্যত দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন রাহুল গান্ধী।

Advertisement
Advertisement

এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই গৌতম বুদ্ধ নগর থানা জানায়, গান্ধীনগর হয়ে হাথরসে যাওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস প্রতিনিধি দলকে। কিন্তু এক্ষেত্রে একটি শর্ত প্রযোজ্য থাকে। বলা হয় 144 ধারা জারি রয়েছে বলে পাঁচজনের বেশি প্রতিনিধিদের নিয়ে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা সেখানে যেতে পারবেন না। তবে একজন হোক বা পাঁচজন, অবশেষে হাথরসে প্রবেশের অনুমোদন পায় রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। আর সেখানে গিয়েই প্রিয়াঙ্কার এই হুঙ্কার রাজনৈতিক মহলের কাছে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ, তা বলাই যায়।

Advertisement

Related Articles

Back to top button