দেশনিউজ

Pakistan visa rule: আর্থিক সংকটের মধ্যেই এবারে বড় সিদ্ধান্ত নিলো পাকিস্তান, এবারে পাল্টে গেলো পাকিস্তানের ভিসার সব নিয়ম

পাকিস্তান এখন চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে আছে

Advertisement
Advertisement

পাকিস্তান, এই দেশটার জন্য এখন চলছে সবথেকে খারাপ সময়। একদিকে যেমন খাদ্যসংকটে জেরবার দেশটি। তার সাথেই আছে মূল্য বৃদ্ধির মতই হাজারো সমস্যা এই দেশটার। সব মিলিয়ে দেখতে গেলে এখন পাকিস্তানের অবস্থা রীতিমত জল ছাড়া মাছের মত। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আবার দেশটির ব্যবসা বাণিজ্যের হাল হকিকত আরো খারাপ হতে শুরু করেছে। অর্থনীতি কার্যত হিমঘরে পৌঁছে গিয়েছে। এক ব্যাগ আটার জন্য মানুষের মধ্যে শুরু হয়েছে হাহাকার। দীর্ঘদিন যাবত খারাপ অর্থনৈতিক কাঠামো এবং অচল বৈশ্বিক নীতির কারণে আজ এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে পাকিস্তান। তাই এই অবস্থা থেকে দেশকে কিছুটা আগের অবস্থায় নিয়ে আসতে এবারে নতুন কিছু নিয়ম নিয়ে হাজির হয়েছে সেই দেশটির সরকার। জারি হয়েছে ভিসার একটি নতুন নিয়ম। পাকিস্তান মনে করছে, এই নতুন নিয়মের কারণে এবারে কিছুটা পরিবর্তিত হবে দেশের ব্যবসার অবস্থান।

Advertisement
Advertisement

সেদেশের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক কাকার SIFC-এর পঞ্চম শীর্ষ কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। তিনি একটি রেকর্ড করা বার্তায় ঘোষণা করেছেন যে, পাকিস্তানে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক বিদেশী শিল্পপতিদের জন্য একটি সহজ ভিসা ব্যবস্থা অনুমোদিত হয়েছে।

Advertisement

তিনি বলেন, পাকিস্তানে আসতে ইচ্ছুক বিদেশি শিল্পপতিদের জন্য তাদের দেশ বা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থার একক নথির ভিত্তিতে সহজে ভিসা দেওয়া হবে। সরকার প্রকাশিত অফিসিয়াল বিবৃতিতে কাকারকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে যে, পাকিস্তানের বাণিজ্য চেম্বার বা ব্যবসায়িক সংস্থাগুলি যদি কোনও বিদেশী ব্যবসায়ীকে কোনও নথি ইস্যু করে, তবে তাদেরও এবার থেকে আরো সহজে ভিসা দেওয়া হবে।

Advertisement
Advertisement

পাকিস্তানের ব্যবসা বাড়বে

এই নতুন নিয়ম প্রকাশ করে কাকার বলেছেন, পাকিস্তান আশা করছে যে, নতুন ভিসা নিয়মের অধীনে, পাকিস্তান ব্যবসা এবং অর্থনীতির একটি নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করবে। অন্যদিকে, ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানি সাংবাদিকদের বলেছেন, চীন, জাতিসংঘ ও পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের বিষয়ে SIFC-কে অবহিত করা হয়েছে। ফলে, তারাও এই প্রস্তাব নিয়ে বেশ আশাবাদী। তিনি আরো বলেছেন, উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (জিসিসি) দেশগুলো বিনিয়োগ কাউন্সিলে ইতিমধ্যেই আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই দেশের রয়েছে বাহরিন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। ফলে, এইসব দেশ থেকে যদি বিদেশি টাকা পাকিস্তানে আসতে থাকে, তাহলে পাকিস্তানীদের অবস্থা একটু হলেও পাল্টাতে পারে।

Advertisement

Related Articles

Back to top button