টলিউডনিউজবিনোদনরাজ্য

টিকার বদলে পাউডার গোলা জল, তড়িঘড়ি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাচ্ছেন উদ্বিগ্ন মিমি

কসবা এলাকার একটি ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্প থেকে গ্রহণ করেছিলেন মিমি চক্রবর্তী

Advertisement
Advertisement

করোনা ভাইরাসের টিকার নামে অন্য কিছু একটা টিকা নিয়ে বসেছেন যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। মঙ্গলবার ২২ জুন কসবার একটি ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পে গিয়ে করোনা ভাইরাসের টিকা গ্রহণ করেন মিমি চক্রবর্তী।সেদিন তার সঙ্গে বহু মানুষ টিকা গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীকালে জানা যায়, এই টিকা গ্রহণ ক্যাম্প সম্পূর্ণরূপে ভুয়ো একটি ক্যাম্প ছিল, এবং এখানে যে টিকা দেওয়া হয়েছে তা কোনোভাবেই করোনা ভাইরাসের টিকা নয়। তারপরেই, সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর তৎপরতায় এই সম্পূর্ণ চক্র ধরা পড়ে।

Advertisement
Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, এই সমস্ত ক্যাম্পে যে টিকা দেওয়া হয়েছে সে সম্পূর্ণরূপে ভুয়ো। এখানে কোন একটি পাউডার করা ওষুধ জলে গুলে সকলের বডিতে ইনজেক্ট করা হয়েছে। গতকাল ইনস্টাগ্রাম লাইভে এসে মিমি চক্রবর্তী নিজে জানিয়েছিলেন, তিনি যদিও এখনও পর্যন্ত সুস্থ আছেন তবে, এর মধ্যে কোন ভাবেই ভ্যাকসিন ছিল না। মিমি বলেন, প্রত্যেকটি ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পে টিকাকরণের পরে আপনাকে একটি সার্টিফিকেট এবং ফোনে একটি ম্যাসেজ আসবে। মঙ্গলবার টিকা নেওয়ার পর বুধবার পর্যন্ত কোন মেসেজ না আসায় এই সমস্যাটি নিয়ে সরব হন মিমি চক্রবর্তী।

Advertisement

মিমি তৎপরতার পরেই এই সমস্ত চক্রের মূল পান্ডা দেবাঞ্জন দেব ধরা পড়েন। অন্যদিকে পুলিশের তদন্তে, দেবাঞ্জন এর বাড়ি থেকে পেটের অসুধ এমিকাসিন এর বেশ কিছু স্যাম্পল উদ্ধার হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সেই ওষুধের বায়োকেমিক্যাল রিপোর্ট না এলেও পুলিশের ধারণা, এ টিকার মধ্যে অ্যামিকাসিন্ ছিল। এটি একটি অ্যান্টিবায়োটিক এবং যখন পেটের সমস্যা হয়, তখন এটা রোগীর দেহে চার্জ করা হয়। কিন্তু মিমি চক্রবর্তীর আগে থেকেই পেটের সমস্যা ছিল। তাই তিনি কোনো রকম ঝুঁকি নিতে চাইছেন না, সম্ভবত আজকেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হাসপাতালে যাবেন মিমি চক্রবর্তী। হাসপাতালে গিয়ে লিভার পরীক্ষা করানোর কথা তার।

Advertisement
Advertisement

কিন্তু গতকাল ইনস্টাগ্রাম লাইভে এসে তিনি নিজেই জানিয়েছেন তিনি সম্পূর্ণরূপে সুস্থ রয়েছেন। তিনি বলেছেন, “গতকালের ঘটনার পর আমার কাছে অনেক ফোন এবং মেসেজ এসেছে। সবাই জানতে চেয়েছেন এবং অনেকে খোঁজ নিয়েছেন আমার শারীরিক অবস্থা। তাদেরকে আমি জানাতে চাই আমি সম্পূর্ণরূপে ভালো আছি। আমি যখন ভালো আছি আশা করছি বাকি সবাই ভালো রয়েছেন। ওই ভ্যাকসিনের ভায়ালের নমুনা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ল্যাবে। তবে আমরা এটুকু নিশ্চিত যে, ওখানে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তো ছিল না, তবে মনে করা হচ্ছে ক্ষতিকারক কোন জিনিস ছিল না।” এর আগেও দেবাঞ্জন বেশকিছু ক্যাম্প অরগানাইজ করেছে। তাই সকলকে মিমি সচেতন থাকার অনুরোধ করেছেন এবং এর আগে যারা দেবাঞ্জনের ক্যাম্প থেকে টিকা গ্রহণ করেছেন, তাদেরকে তৎক্ষণাৎ স্থানীয় কাউন্সিলর, এমএলএ অথবা কেএমসির সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ রেখেছেন মিমি চক্রবর্তী।

Advertisement

Related Articles

Back to top button