নিউজরাজ্য

আজ জেলা সভাপতিদের সাথে বৈঠক করবেন তৃণমূল নেত্রী, বৈঠকের আগে টুইট করে মনে করিয়ে দিলেন ১৪ বছর আগের ইতিহাস

×
Advertisement

দলের ভিতরের সমস্যা পর্যালোচনা করতে এবং বিধানসভা ভোটের আগে দলকে দিশা দিতে শুক্রবার তৃণমূলের জেলা সভাপতিদের সাথে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকটি করা হয় ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে। শুভেন্দু অধিকার সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় বন্ধ করতে এবং কোচবিহারের বিধায়ক মিহির গোস্বামীর গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পর অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে এই বৈঠকের গুরুত্ব। অন্যদিকে আজ ৪ ডিসেম্বর। বৈঠকের জন্য বেঁছে নেওয়া হয়েছে এই দিনটিকেই। বৈঠকের আগে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটের মাধ্যমে লেখেন,”১৪ বছর আগে এই দিনে কলকাতায় ২৬ দিনের অনশন শুরু করেছিলাম আমি। সেখানেও বিষয়টি ছিল কৃষিজমি জোর করে ছিনিয়ে নেওয়া। কেন্দ্রের কড়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দেশজুড়ে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। আমি সেই আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন করি। কৃষকদের সাথে পর্যালোচনা করে এই বল পাশ করানো হয়নি।”যা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, বিধানসভা ভোটের আগে মমতা চাইছেন তৃণমূলকে আবারও একটি আন্দোলনমুখী আকৃতি দিতে। গ্রামের দিকে নজর দিতে চলেছে জোড়াফুল শিবির, তা স্পষ্ট।

Advertisements
Advertisement

তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, আগামী সোমবার ৭ তারিখ আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর সভা করতে চলেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সভে থেকে আরও ভালো করে বোঝা যাবে যে কৃষকদের এই আন্দোলনে তার সমর্থন রয়েছে।

Advertisements

শুক্রবারের এই টুইট সম্পর্কে নিজের বক্তব্য জানিয়েছে তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্বও। এই টুইটের মাধ্যমে আন্দোলনের ইতিহাসকে আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন দলনেত্রী। এর আগেও কৃষি আইনের বিরুদ্ধে টুইট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি লিখেছিলেন,”কর্ষকদের জীবন এবং তাদের জীবিকা নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। ভারত সরকারকে অবিলম্বে কৃষি স্বার্থ বিরোধী আইন কে প্রত্যাহার করতে হবে। আর যদি তারা সেটা না করেন তবে রাজ্য জুড়ে আমরা আন্দোলনে নামব। আমরা প্রথম থেকেই এই কৃষি আইনের বিরুদ্ধে। এছাড়া কৃষকদের পাশে থাকতে ইতিমধ্যেই রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়নকে হরিয়ানা পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে অন্যদিকে এইদিনের বৈঠককে অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ডিসেম্বরেই জেলা সফর শুরু করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে প্রশাসনিক সভার পাশাপশিই থাকবে রাজনৈতিক সভাও।

Advertisements
Advertisement

Related Articles

Back to top button